রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহর করা হয়েছে। আজ রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে।
এনবিআরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা এম এ মুমেন জানান, রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের ওপর ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে গত ১৫ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম মিল গেইটে ১২৭ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ১৩১ এবং খুচরায় ১৩৯ টাকা নির্ধারণ করে।
ওই সময় পাঁচ লিটারের বোতল মিল গেইটে ৬২০ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ৬৪০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে থাকায় তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে মূল্য বেধে দেয় মন্ত্রণালয়।
দাম স্থিতিশীল রাখার ধারাবাহিকতায় এবার আসন্ন রমজানে যাতে সাধারণ মানুষ তেলের দাম কিছুটা কমে কিনতে পারেন সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে সয়াবিন তেলের দাম মিল গেইটে ১০৭ টাকা এবং খুচরায় ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মিল গেইটে ১০৪ টাকা, ডিলার পর্যায়ে ১০৬ টাকা এবং খুচরায় ১০৯ টাকা।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম মিল গেইটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ টাকা এবং খুচরায় ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম মিল গেইটে ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৬০০ টাকা এবং খুচরায় ৬২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তবে প্রতিবার দাম নির্ধারণের পরও খোলা বাজারে এর চেয়ে বেশি দরে বিক্রে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
বাংলাদেশে ব্যবহার হওয়া তেলের ৭০ শতাংশই পাম সুপার। আগে এর প্রতি লিটারের দাম ছিল মিলগেইটে (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত জুলাই মাস থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম (এফওবি) ১ হাজার ২৭৫ ডলার এবং পাম তেলের দাম (এফওবি) ১ হাজার ৩৭ ডলার।
পাশাপাশি পরিবহন খরচ ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ এবং বোতলের কাঁচামাল রেজিনের দাম ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেড়েছে। ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে এসব বিষয়ও বিবেচনায় আনা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL