আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য স্কুল না খোলায় তালেবান সরকারের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে নারীশিক্ষা বন্ধের এক বছর পূর্তির দিন গতকাল রোববার এ আহ্বান জানানো হয়। বালিকাদের স্কুল বন্ধ করার বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে তালেবান সরকারের নীতিতে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। তালেবানের এ নীতি দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরো গভীর করবে। নিরাপত্তাহীনতা, দারিদ্র্য ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বাড়াবে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান মার্কাস পোতজেল বলেন, ‘নারীদের শিক্ষাবঞ্চিত করা খুবই লজ্জার ব্যাপার। ’
গত বছর আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখলের পর নারীদের মাধ্যমিক পর্যায়ের (৭ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) পাঠদান আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করে তালেবান সরকার। তালেবানের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো। একইভাবে আফগানিস্তানেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে শত শত নারী শিক্ষার্থীর দাবির মুখে চলতি মাসে মেয়েদের জন্য পাঁচটি স্কুলের পাঠদান আবার শুরু হয়। মূলত সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই আফগানিস্তানের গারদেজ প্রদেশের কিছু অংশে এসব স্কুল খুলে দেওয়া হয়। যেসব এলাকায় স্কুল খুলেছে, সেসব এলাকার অবস্থান তালেবানের ক্ষমতার ঘাঁটি কাবুল ও কান্দাহার থেকে অনেক দূরে। খবর এএফপির। গারদেজ প্রদেশের শাসগার উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওয়ালি আহমানি জানান, চলতি মাসের শুরু থেকে ওই স্কুলে আনুমানিক ৩০০ শিক্ষার্থী আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরেছে। যদিও আফগানিস্তানে নারীদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া নিয়ে তালেবান সরকারের নীতিতে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় ফেরে তালেবান। এরপর থেকে মেয়ে ও নারীদের জন্য একাধিক কঠিন বিধিনিষেধ আরোপ করে তালেবান কর্তৃপক্ষ। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর প্রথমবারের মতো ফের চালু করার কয়েক ঘণ্টা পরই মেয়েদের জন্য সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL