নিজস্ব প্রতিনিধি
আল সাদি, গাজীপুর:
মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বলা হয় গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমাকে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) শেষ হলো তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা।
বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এ আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে ফিলিস্তিনিদের হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন মুসল্লীরা।
এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মধ্যাহ্নের আকাশ-বাতাস মুখরিত করে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় লাখ লাখ মুসল্লি আকুতি জানান। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশেরের কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
নীলফামারী থেকে ইজতেজায় আসা ষাটোর্ধ মো. হাফিজ উদ্দিন দিন পরিবর্তনকে বলেন, ‘বিশ্ববাসীর শান্তি কামনায় আমরা আসছি। সুন্দর একটা পরিবেশে মোনাজাত শেষ করেছি।ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যে আগ্রাসন তার থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়েছি।’
রবিবার সকালে চারদিক থেকে লাখ লাখ মুসল্লি পায়ে হেঁটেই টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা স্থলে পৌঁছেন। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলিগলিসহ বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ কামারপাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। রবিবার ভোর থেকেই ফজরের নামাজ ও আখেরি মোনাজাতের জন্য পুরনো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন সিট বিছিয়ে বসে পড়েন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি-কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL