টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) :
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজও গড়ে ওঠেনি শহীদ মিনার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে পারে না। অনেক প্রতিষ্ঠান শুধু জাতীয় পতাকা তুলে দায়িত্ব পালন করেন। কোনো আলোচনা না করায় মহান ভাষা আন্দোলন কিংবা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে কিছুই জানে না শিক্ষার্থীরা।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় ৯২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ৩২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। এবং ৬০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নেই।
উপজেলা শহর ছাড়া গ্রামাঞ্চলের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে সেগুলো রয়েছে অযত্ন-অবহেলায়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একুশে ফেব্রুয়ারির দিন কর্মসূচি থাকে নেই শহিদ মিনারের যত্ন। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান মাঝে মধ্যে ফুল দিয়ে থাকে। শুধু পতাকা উত্তোলন করা হয়। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা সম্পর্কে তেমন কিছু শিখতে বা জানতে পারছে না। কোথাও বাশের তৈরি কোথাওবা কলা গাছের তৈরি শহিদ মিনারেও ফুল দিয়েও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বুধবার ২০ ফেব্রুয়ারী উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন স্কুলে নেই শহিদ মিনার। শিলপড়ান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে শহিদ মিনার নেই। খোজ নিয়ে জানাযায়, পাশের হাসাইল বানারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২১ ফেব্রুয়ারী শহিদ মিনারে পুস্পার্পণ করা হবে।
শিলপড়ান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদি হাসান রাহাত জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নেই। শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকার থেকে কোনো বরাদ্দ আসেনি এখনও। আমাদের পাশেই হাসাইল-বানারী উচ্চ বিদ্যালয়ে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফেজা খাতুন জানান, শহিদ মিনারের নামে কোনো বরাদ্দ আসেনি। এটা নিয়ে আলোচনা-চিন্তা ভাবনা চলছে, আশা করি খুব তারাতারি বরাদ্দ চলে আসবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL