হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল
সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইল জেলার সর্বত্র বিরাজ করছে শৈত প্রবাহ। প্রচন্ড শৈত প্রবাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে ঘরের বাইরে বের হয়েও অনেকের মিলছে না কাজ। ঘন কুয়াশা আর বাতাস শীতকে আরও প্রবল করেছে। এতে করে দিনমজুর-নিম্ন আয়ের মানুষের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। একদল ব্যাটারিত চালিত রিক্সা চালক কে বসে থাকতে দেখা যায় মধুপুর বাসস্টান্ডে। এখানে তারা প্রায় প্রতিদিনই বসে থাকেন যাত্রি আনা নেয়ার কাজে। প্রচন্ড হাড় কাঁপানো শীতে এখন তারা সহ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইল শহরের কোর্ট চত্বরের আয়ুব আলী নামের ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যাটারিত আটোভ্যান চালক বলেন, ছেলে মেয়ে বউ নিয়ে অভাবের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি নিজেই। ছেলে মেয়েরা স্কুলে-কলেজে পড়াশুনা করে। তাদের লেখাপড়ার খরচ সহ সংসারের ভ্যায়ভার মিটাতে হয়। তবে প্রচন্ড শীতের কারণে এখন লোকজনই ঘর হতে বাইরে বের হচ্ছে কম।
মানুষ কাজের আশায় কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হলেও মিলছে না কাজ। দিন ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। বিকালে শীতের তীব্রতা বেড়ে তা সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। এই শীতের অনুভূতি আরও তীব্র করেছে উত্তরের বায়ু।
শ্রমিক রাজ্জাক আলীর সাথে কথা হলে সে জানায়, তিন দিন যাবৎ প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মাঠে ধানের চারা ও সরিষা তোলতে পারছি না। এই কারণে টাকা রোজগার না হওয়ায় দুদিন ধরে শুধু আলু ভর্তা ও খেসারী ডাল দিয়ে ভাত খেতে হচ্ছে ছোট্র মেয়েটা মাছ ছাড়া ভাত খেতে চায় না। তার আয়ে তিন শিশু সন্তান নিয়ে পাঁচ জনের সংসার চলে। সংসারে সপ্তাহে এক দিন ডিম, এক দিন ব্রয়লার মুরগি আর এক দিন তেলাপিয়া বা পাঙাশ মাছ খাওয়া হয়। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো তারা সবজি এবং ডাল দিয়ে ভাত খান। আয় না হলেও খাবার খরচ বাড়ছে। তীব্র শীতের কারণে তাদের অসহায়ত্ব বেড়েছে বলে জানান রাজ্জাক আলী।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL