২৫-নভেম্বর-২০২৪
২৫-নভেম্বর-২০২৪
Logo
ঢাকা

শ্রীপুরে জমে উঠেছে পিঠা উৎসব, পিঠা প্রেমীদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০২-০৯ ১৭:০৯:১৩
...

শ্রীপুর(গাজীপুর) :
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমে উঠেছে আল-আমিন একাডেমিক স্কুলের পিঠা উৎসব। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে তা চলে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। পিঠা প্রেমীরা সকাল থেকেই পিঠা উৎসবে আসতে শুরু করে।দুপুরের পর থেকে পিঠার স্বাদ গ্রহণে ব্যস্ত থাকেন পিঠা প্রেমীরা। গরম গরম তেলে ভাজা আর ধোয়া উড়ানো পিঠার স্বাদ নিতে স্টলে স্টলে ভিড় জমান তারা।

ঐতিহ্যগতভাবে যারা পিঠা তৈরি করেন সেই শিল্পীদের নিয়ে এবারের পিঠা উৎসব। শুক্রবার স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া দক্ষিণ খন্ড এলাকায় আল-আমিন একাডেমিক স্কুলে ছিল পিঠা উৎসব। সেখানে গিয়ে দেখা গেল বিচিত্র নামে স্টলগুলো, আর প্রতিটি স্টলে নানা রঙের বাহারি সব পিঠাপুলি। পুরো প্রতিষ্ঠান জুড়ে পিঠাপুলির ম-ম গন্ধ।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে। সকাল ৯ টায় ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন নাজমুল আলম মিরন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এস এম আল- আমিন।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মোট ১২টি স্টল রয়েছে। একটি স্টল প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের, নাম তাসমিয়া পিঠা ঘর। বাকি স্টলগুলো অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের। পিঠাপুলির স্বাদ নিতে ক্রেতা হিসেবে সেখানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাই নয়, সবার জন্যই ছিল উন্মুক্ত। ফলে প্রতিটি স্টলেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। পিঠা উৎসব দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিটি শ্রীপুর উপজেলা শাখার সদস্য খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, ‘চমৎকার একটি উৎসব। আমি নিজেও কয়েকটি স্টল ঘুরে পিঠার স্বাদ নিয়েছি।

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন উৎসবের প্রয়োজন রয়েছে। এই উৎসব নতুন প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ধরে রাখার জন্য সহায়ক। একটি স্টলে পিঠা বিক্রি করছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সহায়তা করছিলেন তর সহপাঠীরা।তারা জানান, রাত জেগে ৩০ রকমের পিঠা তৈরি করেছেন। সকালে সেগুলো স্টলে টেবিলে সাজিয়ে বিক্রি করছে সে। এরই মধ্যে সে সব পিঠার নামই জেনে গেছে। তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন ২৩ রকমের পিঠাপুলি নিয়ে তাদের স্টলটি। ।

তারা জানায়, আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৫০ ভাগ পিঠা বিক্রি হয়ে গেছে। স্টলে এভাবে পিঠা বিক্রি করে অনেক খুশি তারা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল আমিন বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।দেশি বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিশুদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেচে-গেয়ে, হই-হল্লা করে সকলে দিনটি পার করেন। শিশুদের আবৃতি, গান, নৃত্য ও চিত্রাঙ্কন পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে।