গিনেজ রেকর্ড বুকে নাম লিখানো জোবেরা রহমান লিনু, কিংবা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ব্যাডমিন্টন কুইন কামরুন্নাহার ডানারা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসের অংশ। জীবন্ত এই কিংবদন্তীদের হাত ধরেই বর্তমান সময়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ডিসিপ্লিনে নারীদের পথচলার শুরু।
এমন অনেক নারীর গল্প ক্রীড়াঙ্গনের অলিগলিতে ইতিহাস হয়ে জমা থাকবে যুগের পর যুগ। যাদের শুরুটা ছিল কঠিন, কিন্তু তাদের ছিল সমাজের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করার সাহস। তাদের দেখানো পথেই মাবিয়া-কৃষ্ণারা মনোবল পান সামনে এগিয়ে যাবার। দেশের জন্য নানান সময়ে সম্মান বয়ে আনা এই ক্রীড়াবিদদের মনে আছে প্রাপ্তির ক্ষুধা। কিন্তু তার পেছনে লুকিয়ে অনেক আক্ষেপের গল্প।
এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ভারোত্তলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত’র ভাষ্য, আমরা বেতনের দিক থেকে অনেকটা নিচে। এখন যদি বলেন কতটা পরিবর্তন হয়েছে; পরিবর্তন হলে তো আমি বলবো পরিবর্তন হয়েছে। যেখানেরটা সেখানেই আছে। শুধু আমাদের দিয়ে ফেডারেশনের স্বার্থে আমাদের থেকে সাফল্যটা নেন।
জাতীয় নারী ফুটবল দলের কৃষ্ণা রানী সরকারের মন্তব্য, অনেকেই নানান কথা বলতো। কিন্তু তারা সব কিছু দেখার পর বুঝেছে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে অন্য কিছু ধারণ করেছে। ২০১৮ সালে নারী ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ জেতার পর ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় সাফল্যটা আসে নারী ফুটবলারদের হাত ধরে।
২০২২ সালে সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা এখন দেশের বড় তারকা হলেও বেশ কয়েকজন নিশ্চিত ভবিষ্যতের খোঁজে খেলা ছেড়েছেন, কেউ পাড়ি দিয়েছেন বিদেশে।অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও ক্রীড়াঙ্গন অন্তত নারীবান্ধব হোক, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমনটাই চাওয়া সবার।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL