২৯-নভেম্বর-২০২৪
২৯-নভেম্বর-২০২৪
Logo
অর্থনীতি

চালের বস্তায় যেসব তথ্য দেয়া বাধ্যতামূলক করল সরকার

বাণিজ্য ডেস্ক:
প্রকাশিতঃ ২০২৪-০২-২১ ১৯:৪১:২২
...

চালের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তার ওপর জাত ও মিল গেটের মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এছাড়াও বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধান ও চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়।

১. চালের উৎপাদনকারী মিলাররা গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের আগে চালের বস্তার উপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, ঠিকানা (উপজেলা ও জেলা), নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্যের এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকবে।

২. বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লেখা যাবে না।

৩. চাল উৎপাদনকারী সকল মিল মালিক (অটো/হাস্কিং) থেকে সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা বা প্যাকেটের (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত করতে হবে।

৪. করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।

৫. এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শকরা পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

৬. আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।

dp-asif