বাণিজ্য ডেস্ক:
উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে। এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক কমিয়েছে সরকার। এরমধ্যে খেজুরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, চালে রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ, তেলে মূসক ৫ শতাংশ ও চিনিতে
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পৃথক চার প্রজ্ঞাপনে এনবিআর জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানা যায়, বর্তমানে অপরিশোধিত চিনিতে শুল্ক দিতে হয় টনপ্রতি দেড় হাজার টাকা। সেটা ৫০০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে চিনির দাম কমতে পারে। পরিশোধিত চিনির শুল্ক রয়েছে টনপ্রতি ৩ হাজার টাকা। সেটি ১ হাজার টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চালের বর্তমান শুল্ক ৬২ শতাংশ। এটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে আমদানি করা চালের দাম কমতে পারে। খেজুরে শুল্ক রয়েছে ৬২ শতাংশ। রমজান উপলক্ষে তা ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে কমতে পারে খেজুরের দাম। ভোজ্যতেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। সেটি ৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
আসছে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৯ জানুয়ারি চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের শুল্ক-কর কমানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে পদক্ষেপ নিতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার পর শুল্ক বিভাগ এসব পণ্যে কতটুকু শুল্ক কমলে কত রাজস্ব ক্ষতি হবে ইত্যাদি হিসাব করেছে। শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি তা চূড়ান্ত করে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠায়।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের সারমর্ম কয়েক দিন ধরে অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। সেটি সম্পন্ন হয়েছে। এখন এর প্রজ্ঞাপন জারি করতে যেটুকু সময় লাগে, তার অপেক্ষা। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রোজায় সাধারণ মানুষের পণ্য কিনতে যাতে ভোগান্তি না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী চাল, তেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL