২৩-নভেম্বর-২০২৪
২৩-নভেম্বর-২০২৪
Logo
অর্থনীতি

রপ্তানি বাণিজ্যের অমিত সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২২-০৭-১৩ ১৭:৫৫:২৪
...

সচেতনতা কিংবা প্রচার না থাকায় গবাদিপশুর হাড়গোড়, খুর, শিং, লেজ কিংবা রক্ত শতকোটি টাকার সম্পদ উচ্ছিষ্ট হিসেবে স্থান হয় আবর্জনার ডাস্টবিনে। আমরা সাধারণত জানি কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্ট বর্জ্য হলো পশুর হাড়, শিং, অণ্ডকোষ, নাড়িভুঁড়ি, মূত্রথলি, পাকস্থলী ও চর্বি। এসব কোনো কাজে লাগে না বলেই আমরা এসব ফেলে দিই। তাই গবাদিপশুর মাংস আর চামড়ার কদর আমাদের কাছে থাকলেও পশুর এসব উচ্ছিষ্টের কোনোই মূল্য নেই অজ্ঞতার কারণে। কিন্তু এসব উচ্ছিষ্ট সামগ্রী বিক্রি করেই কোটি টাকা উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক মানুষ। ফেলে দেওয়া পশুর উচ্ছিষ্ট বর্জ্য হিসেবে এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির জন্য রয়েছে বাজারও। মাংস আর চামড়া ছাড়া বাকি সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রয়েছে অর্থমূল্য এমনকি বিপুল রপ্তানি সম্ভাবনাও। একবার ভাবুন তো আমরা উচ্ছিষ্ট হিসেবে গবাদিপশুর যেসব অংশ ফেলে দিই, বিদেশিরা সেগুলো কিনে নেয় চড়া দামে। আমাদের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট অংশই আনছে বিদেশি মুদ্রা। মূলকথা হলো, গরু বা খাসির সব অংশই মানুষের কোনো না কোনো কাজে লাগে। বিশ্লেষকদের মতে, কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্টের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে দেশ শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের মতে, দেশের সব স্থানের জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করতে পারলে পরিবেশ দূষণ যেমন কমবে তেমনি আয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। জানা গেছে, চামড়া বাণিজ্যের আড়ালে হাড়, প্রজনন অঙ্গ, চর্বি, শিং, দাঁত এমনকি রক্তও রপ্তানি পণ্য হিসেবে বাজারে এসেছে। রপ্তানি বাণিজ্যে পশুবর্জ্যের বাজারের আকার এখন বেশ বড়। যার অর্থমূল্যে কয়েকশ কোটি টাকা। শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে হাড়। হাজারীবাগেই এখন পশু প্রত্যঙ্গের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শতাধিক। পরিত্যক্ত পশুঅঙ্গ থেকে এখানে দেশি পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে শিরিষ কাগজ আর রঙে ব্যবহূত গাম। হাড় ওষুধের ক্যাপসুলের কাভার, সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়। দেশের সাবান শিল্পের চর্বির বড় জোগানদারও হাজারীবাগের কারখানাগুলো।


উচ্ছিষ্টকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে শিল্প-কারখানা

রাজধানীর, হাজারীবাগ, গুলশান, মহাখালী, পুরান ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া পশুর বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন কসাই, পথশিশু, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ফেরিওয়ালারা। পুরান ঢাকার হাজারীবাগের হাড্ডিপট্টিতে পশুর এসব বর্জ্য কেনার জন্য ৩০ থেকে ৪০টি ভাঙ্গারির দোকান রয়েছে। সেসব দোকানে গরু-মহিষের হাড় ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেচাকেনা চলে। উচ্ছিষ্ট বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে হাড়, শিং, অণ্ডকোষ, নাড়িভুঁড়ি, মূত্রথলি, পাকস্থলী ও চর্বি। হাড়, মাথা, দাঁত বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে, আর শুকনো হাড়ের কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা। কেজি হিসেবে পশুর অণ্ডকোষ ও লিঙ্গ ২৫ থেকে ৪০ টাকা, শিং ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চর্বি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, রক্ত ৮ থেকে ১৫ টাকা। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা যায়, গরুর প্রজনন অঙ্গ অত্যন্ত দামি ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এক-একটি অঙ্গ ছয় থেকে সাত ডলারে বিক্রি হয়। প্রতিটি অণ্ডকোষের রপ্তানিমূল্য ৪ থেকে ৬ ডলার।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পশু জবাইয়ের পর একটি মাঝারি আকারের গরুতে ১৫ থেকে ২০ কেজি হাড় ফেলে দেওয়া হয়। আমরা জানিই না যে, প্রতিদিন এই হাড় নিয়ে বাণিজ্য হয় ২০ থেকে ৩০ লাখ এবং নাড়িভুঁড়ি বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার। উচ্ছিষ্ট অংশকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠছে নানা শিল্প-কারখানা, বাড়ছে রপ্তানির সম্ভাবনা। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, শুধু কোরবানির ঈদ ও পরবর্তী এক মাসে সারা দেশে প্রায় ২৫ হাজার টন পশুর হাড় সংগ্রহ করা হয়। প্রকারভেদে প্রতি কেজি গরুর শিংসহ হাড় বিক্রি হয় ১০ থেকে ২৫ টাকা হিসেবে প্রতিবছর ১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। বাংলাদেশ বোন এক্সপোর্টার অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, প্রতিদিন এই হাড় কেনাবেচায় কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। জবাই করা পশুর ফেলে দেওয়া হাড়গোড় সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানি করে হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আরেকটি পণ্য নিয়ে দেখা দিয়েছে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপকরণের উৎস পশুর উচ্ছিষ্ট

পশুর কোনো কিছুই ফেলনা নয়। ১২ ঘণ্টা চুলার আগুনে পশুর অপ্রচলিত চর্বি জ্বালিয়ে বের করা হয় তেল। কোরবানির পশু থেকে সংগ্রহ করা এসব কমার্শিয়াল ফ্যাট বিভিন্ন কল-কারখানার কাজে ব্যবহার করা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পশুর অণ্ডকোষ দিয়ে তৈরি সুসেড রোলসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার জাপান, কোরিয়া, চীন, জার্মানিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্য।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে প্রায় ১৫০টি ওষুধ কোম্পানি ও হারবাল প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ কোটি ক্যাপসুল তৈরি করে। বেশ কিছু কোম্পানি গুঁড়ো করা হাড় থেকে ক্যাপসুলের সেল তৈরি করে। বাংলাদেশ বোন এক্সপোর্টার অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেওয়া গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার হাড়, শিং, অণ্ডকোষ, নাড়িভুঁড়ি, মূত্রথলি, চর্বি বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শিল্প-কারখানায়। পশুর হাড় দিয়ে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, ক্যাপসুলের কভার, বোতাম, সিরামিক পণ্য, মেলামাইন, খেলনা, শোপিসসহ ঘর সাজানোর নানা উপকরণ, নাড়ি দিয়ে- অপারেশনের সুতা, রক্ত দিয়ে- পাখির খাদ্য, চর্বি দিয়ে- সাবান, পায়ের খুর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্লিপ ইত্যাদি উপকরণ তৈরি হয়। পিত্ত থলি দিয়ে তৈরি হয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। আন্তর্জাতিক বাজারে যার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জাপান, চীন, কোরিয়া আর থাইল্যান্ডে উপাদেয় খাবার সুপ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় গবাদিপশুর লিঙ্গ। ৪ থেকে ৬ ডলারে বাংলাদেশ থেকে পশু লিঙ্গ কিনে নেয় এসব দেশ। এগুলোই বছরে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা রপ্তানি হয়। নাড়িকোষ দিয়ে তৈরি হয় জাপানের জনপ্রিয় খাবার সুসেড রোল। হাড়, খুর, দাঁত, শিং আর রক্ত দিয়ে তৈরি হয় ক্যাপসুলের কভার, জেলোটিন, ক্যামেরার ফিল্ম, সিরিজ কাগজ আর পশুপাখির খাবার। দেশেই ওষুধ কোম্পানি অপসোনিন তৈরি করছে ক্যাপসুলের কাভার। মাথার হাড় মেলামাইন তৈরিসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়। পশুর শিং দিয়ে তৈরি হয় চিনাংনি, বোতাম, এক্স-রে ফিল্ম, ক্যামেরার ফিল্ম, ঘর সাজানোর শো-পিস।

বিশাল বাণিজ্য কোরবানিকে ঘিরে

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির গবেষণা অনুযায়ী, কোরবানি ঈদে শুধু ঢাকা শহরেই উৎপাদিত হয় ৩৫ হাজার টন বর্জ্য। কোরবানির বর্জ্য হলো হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি, মূত্রথলি, রক্ত চর্বি, পিত্ত এবং চামড়ার ওয়েস্টেজ অংশ। এসব উচ্ছিষ্ট শতভাগ রপ্তানিযোগ্য। এগুলো রপ্তানি করলে শতকোটি টাকা আয় করা সম্ভব শুধু কোরবানি ঈদকেন্দ্রিক। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যে জানা যায়, কোরবানির বর্জ্য দিয়ে উৎকৃষ্ট জৈব সার তৈরি করলে মাটির উর্বরতা বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পশু উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, পশু ও মৎস্য খামারিরা প্রতি কেজি প্রোটিন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় আমদানি করে। অথচ কোরবানিসহ পশুর উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য ব্যবহার করে প্রোটিন উৎপাদন করলে প্রতি কেজি প্রোটিন উৎপাদনে খরচ হবে ৩ থেকে ৪ টাকা। এভাবে পশু ও মৎস্য খাদ্যের প্রোটিন চাহিদা পূরণ হবে এবং সাশ্রয় হবে কোটি কোটি টাকা।


পশুর হাড়-শিং রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা

গরু-মহিষের হাড়, নাড়িভুঁড়ি ও শিং রপ্তানিতে প্রণোদনা হিসেবে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে রপ্তানিকারক। সম্প্রতি সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে রপ্তানির বিপরীতে সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তার বিদ্যমান হারসমূহ পুনর্নির্ধারণ ও নতুন নতুন খাতে নগদ সহায়তা প্রদান বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

রপ্তানি বাণিজ্যে অমিত সম্ভাবনা

আমরা কজনইবা জানি ঢাকার ট্যানারি থেকে চীন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা হয় এসব ফেলনা হাড়? হাজারীবাগের কিছু উদ্যমী মানুষ ময়লার স্তূপ থেকে গবাদিপশুর এসব উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করে বিদেশে রপ্তানি করছেন। আবার বাংলাদেশের সিরামিক ও মেলামাইন তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো গুঁড়ো ও দানা অবস্থায় কাঁচামাল হিসেবে হাড় পুনরায় আমদানি করে। এই হাড় বাণিজ্যে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দূষণের হাত থেকে পরিবেশও রক্ষা হচ্ছে। দেশে ১ কোটি পশু কোরবানি হলে প্রতিটি গড়ে ১০ ডলার হিসেবে পাকস্থলী থেকেই অর্জিত হতে পারে প্রায় ১০ কোটি ডলার বা ৮ হাজার কোটি টাকা। প্রতিটি গরু থেকে গড়ে ২০ কেজি হাড় ও ৫ কেজি অন্য অঙ্গ পাওয়া যায়। দেখা গেছে, বছরে গরুর উচ্ছিষ্টই উৎপন্ন হয় প্রায় ২৫ কোটি কেজি। এসব অঙ্গের মাত্র ১০ শতাংশও রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। রপ্তানিকারকরা মনে করেন পশুর বর্জ্য রপ্তানিতে সরকারের সহায়তা পেলে কয়েক হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে, পশুর পাকস্থলী একটু ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিলেই এর দাম দাঁড়াবে ১০ থেকে ১২ ডলার। গবাদিপশুর লিঙ্গ থেকে রপ্তানি আয় হতে পারে পাঁচ কোটি ডলার। জার্মানি, ইতালিতে পশুর শিং এবং গরু, মহিষ, ভেড়া, খাসির অণ্ডকোষের পাউডার জাপান, চীন ও কোরিয়া, মিয়ানমার ও হংকংয়ে রপ্তানি করা হয়। অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকেও আসতে পারে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

হাড়ের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হচ্ছে ক্যাপসুল সেল

পশুর হাড় থেকে তৈরি হচ্ছে ক্যাপসুলের সেল, মুরগির খাবার ও জমির সার। ক্যাপসুলের সেল বা আবরণের ভেতরে থাকে ক্যাপসুলের ওষুধ। জানা গেছে, দেশে মোট প্রায় ২০০টি ওষুধ কোম্পানিতে ক্যাপসুল সেলের প্রয়োজন হয়। বিদেশেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অপসোনিন গ্লোবাল ক্যাপসুল সেল গুঁড়ো করা হাড় কিনে জিলাটিন বানিয়ে তা থেকে তৈরি করে ক্যাপসুলের সেল। এসব কাজে প্রতি মাসেই প্রয়োজন হয় কয়েকশ টন পশুর হাড়। প্রতি ঈদে কোরবানির পশুর হাড় দিয়ে এ চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ পূরণ হয়। জানা গেছে, দেশীয় ওষুধ কোম্পানি ও হারবাল প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ক্যাপসুল সেলের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি ক্যাপসুল সেল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। পাকিস্তান, আমেরিকা, ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, সৌদি আরবসহ ১৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ক্যাপসুল সেল।

কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয় ডাস্টবিনে

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি প্রতিটি এলাকায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পশু কোরবানি করা হয়, তাহলে এসব উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করা সহজ হয়। সচেতন হলে এ খাতে কোটি কোটি টাকা রপ্তানি আয় সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকার চাইলে এই শিল্পখাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সংরক্ষণের আধুনিক সুবিধা আর সরকারের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তা পেলে, অর্থের অঙ্কটা কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব। ব্যবসায়ীদের দাবি, কোরবানির পশুর বর্জ্য রপ্তানি করেই হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। দরকার সরকারের সহায়তা। সাভার চামড়া শিল্প এলাকায় প্লট পেলে অপ্রচলিত পণ্যের তালিকায় শীর্ষ রপ্তানিকারক হতে পারবে বাংলাদেশ

এস এম মুকুল : কলাম লেখক ও উন্নয়ন গবেষক