ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকার ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে ডেনমার্ক। টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার উদ্বেগ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
গত সপ্তাহে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি জানায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা থাকলেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেশি। ইউরোপের কয়েকটি দেশ সাময়িকভাবে এই টিকার প্রয়োগ স্থগিত করে। তবে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে এই টিকার ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দিলো ডেনমার্ক।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার আবারও শুরু করলেও বেশি বয়সীদের ওপর এই টিকাটির প্রয়োগ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার একই ধরনের উদ্বেগ থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ব্যবহার স্থগিত করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসন উভয়েই দাবি করছে রক্ত জমাট বাঁধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চরম বিরল।
ডেনমার্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার সরবরাহ করা ২৪ লাখ ডোজ টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টিকাটি গ্রহণের পর রক্ত জমাট বাঁধার প্রত্যাশিত পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪০ হাজার জনের মধ্যে এক জনের ক্ষেত্রে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।
ডেনমার্কের স্বাস্থ্যখাতের মহাপরিচালক সোরেন ব্রোসট্রোম বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। কিন্তু তার দেশের হাতে অন্য টিকাও রয়েছে এবং মহামারিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামীতে যে বয়সসীমার মানুষদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিলো তাদের করোনায় গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম।’ তবে পরবর্তীতে এই টিকা ব্যবহার করা হতে পারে বলেও সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL