ভারতের ত্রিপুরার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে দেখা গেলো গেরুয়া ঝড়। কারণ চারটি আসনের তিনটিতেই জিতেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। একটি আসনে জিতে দুই নম্বরে থাকলো কংগ্রেস। মূলত বামফ্রন্টের চেয়েও ভালো ফল করেছে তারা। তবে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর দল তৃণমূলের। সব আসনেই দলটির প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, প্রথমবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জয়ী হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বড়দোয়ালি কেন্দ্রে মানিক পেলেন ১৭ হাজার ১৮১টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের দুই বারের বিদায়ক আশিস সাহা পান ১১ হাজার ৭৭টি ভোট। এই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পেয়েছেন মাত্র ৯৮৬টি ভোট। সেই আসনে বাম প্রার্থী পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৬টি ভোট।
গত মাসে বিপ্লব দেবের হঠাৎ পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যসভার সদস্য মানিক সাহার নাম ঘোষণা করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে তাকে উপ-নির্বাচনে জিততে হতো। এক সময়ের কংগ্রেস নেতা মানিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। পেশায় দন্ত চিকিৎসক ২০২০ সালে ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতিও হন।
আগরতলা কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসেন বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসা সুদীপ রায়বর্মণ। বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার সাবেক মন্ত্রী সুদীপ পান ১৭ হাজার ৪৩১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অশোক সিংহ পান ১৫ হাজার ২৬৮টি ভোট। বাম প্রার্থী কৃষ্ণা মজুমদার ৬ হাজার ৮০৮টি ও তৃণমূলের প্রণব দেব পান ৮৪২টি ভোট।
যুবরাজনগর কেন্দ্রেও পদ্ম ফুটেছে। বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ পান ১৮ হাজার ৭৬৯টি ভোট। এই একটি কেন্দ্রেই দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে বামেরা।
ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়েছিল সুরমা। তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে সেখানে। ওই কেন্দ্রেও জিতেছে বিজেপি। বাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হারিয়ে জয় হাসিল করেছেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাস।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL