জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তার আগে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষে একইদিন স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডনের স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বিমানবন্দরের বাইরে নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। যুক্তরাজ্য ত্যাগের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁসহ কয়েক শ বিশিষ্ট ব্যক্তি রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছান। সেখানে চার দিন অবস্থানের পর নিউইয়র্কে রওনা দেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। আর সকাল ৯টায় অংশ নেন জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে।
একই দিনে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি, স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুট পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও ইউএনজিএ প্ল্যাটফরম ফর উইমেন লিডার্স শীর্ষক অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যায় অ্যামেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাশনাল হিস্ট্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌজন্যে আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় টেকসই বাড়ি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের পার্শ্ব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। ওই ভবনেই বেলা সাড়ে ১১টার সময় ডবিউইএফের নির্বাহী পরিচালক ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে অংশ নেবেন সরকারপ্রধান। একই সঙ্গে কসোভোর প্রেসিডেন্ট, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি।
২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও আইওএম মহাপরিচালক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ওই দিন দুপুর ১টায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজনেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে নিজের বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন সরকারপ্রধান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই দিন দুপুরে নিউইয়র্ক ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতেই অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অংশ নেবেন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। ২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। লন্ডনে পৌঁছে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি নেবেন শেখ হাসিনা।
৩ অক্টোবর যুক্তরাজ্য সময় সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL