পুরো বিশ্বের চোখ এখন পাকিস্তানের দিকে। দেশটিতে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটের ফল প্রকাশে নজিরবিহীন দেরি হচ্ছে। এ ভোট নিয়ে ইতোমধ্যেই কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
জিও টিভির খবর অনুযায়ী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঘোষিত ফলে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৫০টি আসনে জয় পেয়েছেন।
৩১ আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। আর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ২৮টি আসনে জয় পেয়েছেন।
পাকিস্তানে ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন। বৃহস্পতিবার ভোটের দিন সারা দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটে বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক সহিংসতা। এদিন খাইবার পাখতুনখোয়াতে ভয়াবহ হামলার ঘটনাও ঘটে।
এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও দল মিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ প্রার্থী জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি, পাঞ্জাব পরিষদের ২৯৬টি, সিন্ধ পরিষদের ১৩০টি, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ১১৩টি ও বেলুচিস্তানের ৫১টিসহ মোট ৮৫৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচন এটি। অনিশ্চিত আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ দেশটিকে আর্থিক সংকট ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে।
/এএম
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL