২২-নভেম্বর-২০২৪
২২-নভেম্বর-২০২৪
Logo
আন্তর্জাতিক

মরুর বুকে যেন ফুলের মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২২-০৮-২৯ ১৯:১৮:৫৯
...

বিশ্বের প্রাচীনতম এবং শুষ্কতম মরুভূমি চিলি উত্তর অংশের আটাকামা।  এটি হয়ত অনেকেরই অজানা যে প্রকৃতির খেয়ালে এই শুষ্ক জনবিরল মরুভূমিই জেগে ওঠে রংবাহারি ফুলের সাজে।  বিস্ময়কর সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের আধিকারিক সুশান্ত নন্দ।  মরুর বুকে ফুলের ছবি দেখে হতবাক মানুষ।  বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণত প্রচুর ও আশাতীত বৃষ্টির কারণে এমনটি ঘটে।  প্রকৃতির বিস্ময় এই ঘটনাকে বলা হয় ‘ডেসিয়ের্তো ফ্লোরিডো’ অর্থাৎ ফ্লাওয়ারিং ডেজার্ট বা মরুভূমিতে ফুলের মেলা।

পোস্টে আইএফএস কর্মকর্তা সুশান্ত লিখেছেন, চিলির আটাকামা মরুভূমি বিশ্বের শুষ্কতম স্থান বলে পরিচিত।  প্রতি বছর এখানে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫ মিলিমিটার।  এখানে এমন কিছু আবহাওয়া অঞ্চল আছে, যেখানে কোনোদিন বৃষ্টির রেকর্ডই হয়নি।  কিন্তু যখন আটাকামা মরুতে বৃষ্টি হয়, তখন ফুলের সাজে রূপকথার দেশের মতো দেখতে লাগে। 

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিন্নমুখী বাতাসে মরুভূমির বুকে উড়ে আসে বীজ।  সেগুলো সু্প্ত হয়ে থাকে মরুর ভূস্তরে।  বৃষ্টির পানি পেয়ে সেগুলোর অঙ্কুরোদ্গম হয়।  প্রতি ৫ থেকে ৭ বছরে একবার এ দৃশ্য দেখা যায় আটাকামায়।  সুশান্তের শেয়ার করা ছবিগুলোতে অসংখ্য মন্তব্য এসেছে।  পোস্টটি রিটুইটও করা হয়েছে অগণিত।  নেটিজেনরা তাদের মনোভাব প্রকাশ করেছেন কমেন্ট বক্সে।  একজন লিখেছেন, ‘এটাই প্রকৃতির অনির্বাচনীয় রূপ। ’ আর একজন লিখেছেন, ‘প্রকৃতির বিস্ময়। ’ আর একজনের মনে পড়েছে তার আটাকামা ভ্রমণের স্মৃতি।  লিখেছেন, ‘আমি যখন আটাকামায় গিয়েছিলাম তখন আকাশ মেঘলা ছিল।  রাতে কোনো তারা দেখা যায়নি।  আমি আটাকামা মরুভূমিতে বৃষ্টি দেখেছি।  তবে ফুল ফোটার আগেই আমি চিলি ছেড়ে চলে আসি। ’

চিলির আটাকামা মরুভূমিতে প্রায় ২০০ রকমের বনফুলের গাছ আছে।  বৃষ্টি পড়লে সেগুলো বিকশিত হয়।  কয়েক হাজার ফুলের রঙের চাদরে ঢেকে যায় শুষ্কতা।