২২-নভেম্বর-২০২৪
২২-নভেম্বর-২০২৪
Logo
ক্রিকেট

টানা চতুর্থবার হারল মাশরাফির সিলেট

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-২৯ ১৬:৫৫:২৩
...

 

গত আসরে ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবারও শক্তিশালী দল গড়ে সেই স্বপ্ন দেখেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। তবে মাঠের পারফম্যান্সে ঘটেছে ঠিক উল্টোটা। এখনও পর্যন্ত আসরে ৪ ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পায়নি তারা। ঘরের মাঠে আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে সিলেট।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।

১৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আভিশকা ফার্নান্দো। ১২ বলে ১৭ রান করা এই লঙ্কান ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুস।

তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ বলে ৫০ রান। আর ব্রুস অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ৫১ রান করে। এই ব্যাটারের ফিফটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। আসরে ৫ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন টেবিলের শীর্ষে আছে তারা।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিলেট ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে আগের তিন ম্যাচের মতো এদিনও নিজের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না বাঁ-হাতি এ ব্যাটার। বিলাল খানের সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তিনি। তার আগে করতে পেরেছেন ৭ বলে মাত্র ৫ রান। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনও নামলেন আর উঠলেন যেন।

শুরুর ধাক্কা সামলে দলের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর ও জাকির হাসান। দুজনের জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান। গত ম্যাচের মতো এদিনও দারুণ খেলছিলেন জাকির। ১১তম ওভারে নিহাদউজ্জামানকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তরুণ এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করেন তিনি।

অপরপ্রান্তে থাকা টেক্টর বেশ খানিকটা সময় ক্রিজে টিকে থাকলেও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না। একবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করে বিলাল খানের বলে কাটা পড়েছেন।

রায়ার্ন বাল শেষের দিকে ঝড় তুলতে পারেননি। ২৯ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১২ বলে ১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৭ অপরাজিত ১৭ রান করেছেন আরিফুল ইসলাম। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন বিলাল খান। একটি উইকেট নিয়েছেন নিহাদুজ্জামান।