২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
ক্রিকেট

দলের কথা ভেবেই চোট থেকে দ্রুত মাঠে ফিরেছিলেন ওয়ার্নার

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২১-০৩-০৩ ১৪:৪৩:৪৫
...

দল যখন বিপদে, বাইরে থেকে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। চোট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই নেমে যান মাঠে। লাভ তাতে খুব বেশি হয়নি। পেছন ফিরে তাকিয়ে এখন এই অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারের উপলব্ধি, তাড়াহুড়ো করে ফেরা ঠিক হয়নি। গত নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কুঁচকির চোটে মাঠ ছাড়েন ওয়ার্নার। এর পর সীমিত ওভারের সিরিজের বাকি সব ম্যাচ ও টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাইরে থাকতে হয় তাকে। দলের সেরা ওপেনারকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ছিল ছন্নছাড়া।

তৃতীয় টেস্ট দিয়ে মাঠে ফেরেন ওয়ার্নার। কিন্তু দুই ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাট করা ওপেনার টেস্টে ছিলেন বিবর্ণ। সিডনিতে আউট হন দুই ইনিংসে ৫ ও ১৩ রান করে। পরের টেস্টে ব্রিজবেনে করেন ১ ও ৪৮।

ওই ম্যাচের পর ওয়ার্নার আবার মাঠে নামতে যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার। ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট মার্শ কাপের ম্যাচে অ্যাডিলেডে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলবেন তিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই ম্যাচ খেলতে সিডনি ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, দলের কথা ভেবেই চোট থেকে দ্রুত মাঠে ফিরেছিলেন। ওই টেস্ট দুটি খেলার সিদ্ধান্ত আমারই ছিল। মনে হয়েছিল, মাঠে নেমে ছেলেদের পাশে থাকা দরকার। এখন পেছন ফিরে তাকিয়ে মনে হয়, সম্ভবত এটা করা উচিত হয়নি আমার। চোট নিয়ে যে অবস্থায় আছি, সেটিই আমাকে একটু পিছিয়ে দিয়েছিল। যদি নিজের কথা শুধু ভাবতাম, তাহলে হয়তো তখন না করতাম। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, দলের আমাকে প্রয়োজন, আমি ওপেন করতে পারলেই দলের জন্য সবচেয়ে ভালো হয়।

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া উঠতে না পারলে লম্বা সময় আপাতত কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই তাদের। তবে ওয়ার্নারের ব্যস্ততা কম থাকবে না। মার্শ কাপের পর শেফিল্ড শিল্ড খেলবেন তিনি। এরপর খেলবেন আইপিএল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সীমিত ওভারের সিরিজের ব্যস্ততাও থাকবে। কিছুদিন আগে ওয়ার্নার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কোভিডের সময়ে কোয়ারেন্টিন, জৈব-সুরক্ষা বলয়, পরিবার থেকে লম্বা সময় দূরে রাখা, এসব কারণ মিলিয়ে কোনো একটি সংস্করণ থেকে তিনি অবসর নিতে পারেন। তবে আপাতত সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছেন বলে জানালেন ৩৪ বছর বয়সী ওপেনার।

তিনি বলেন, শেষ নিয়ে আমি মোটেও ভাবছি না। আমার ভাবনা এখন ২০২৩ বিশ্বকাপকে ঘিরে। আমাদের সাদা বলের দলটির ভিত্তি বেশ শক্ত। ভারতে ভালো করার ও জয়ের ভালো সম্ভাবনা আমাদের আছে। দলের বেশ কজনেরই হয়তো এটি হবে শেষ বিশ্বকাপ। এরপর নিশ্চিতভাবেই আমাদের থামতে হবে, যদি না কেউ ৪১ বছর পর্যন্ত খেলে। টেস্ট ক্রিকেটে চাইব, যতদিন সম্ভব খেলে যেতে। সামনে অনেক খেলা আছে আমাদের। আমার জন্য তাই ব্যাপারটি হলো, যতটা সম্ভব ফিট ও ভালো থাকা এবং পরিবারের সঙ্গে ক্রিকেটের সমন্বয় করা।