০৫-ডিসেম্বর-২০২৩
Logo
খুলনা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে এক শিক্ষক দিয়েই

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৩-০৯-২৬ ১৭:১১:০৩
...

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া: 


ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অধিকাংশ সময়ই অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকেন। অবশিষ্ট একজন শিক্ষক একাই নেন পাঁচটি শ্রেণির ক্লাশ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম।নিত্যদিনের এমন চিত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের ৫৩ নং এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
 বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে জনবল কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষক নেই। একজন সহকারী শিক্ষক একই কক্ষে প্রাক প্রাথমিক ও  প্রথম শ্রেণির ক্লাশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কক্ষে বসে আছে। 
এ সময় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী  সম্রাট বলেন, হেড স্যার উপজেলায় গেছে। এখন বিদ্যালয়ে একজন মাত্র স্যার আছে। তিনি প্রথম শ্রেণির ক্লাশ নিচ্ছেন। 
শিক্ষকদের অপেক্ষায় বসে থাকা দ্বিতীয় শ্রেণির আরেক ছাত্র মো. আজিব বলে, শিক্ষক কম থাকায় নিয়মিত পড়াশোনা হচ্ছে না। তাঁর দাবি আরো দুইজন শিক্ষক থাকলে ভাল হতো।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বিঘা জমির উপর ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১২ জন। তাঁদের পাঠদানের জন্য ৫ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র দুইজন। তারমধ্যে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দাঁয়িত্বে রয়েছেন। যিনি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকেন। আর একজন সহকারী শিক্ষক চালিয়ে নিচ্ছেন পাঠদান কার্যক্রম। এতে স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে এভাবেই চলছে বিদ্যালয়টি। 
সহকারী শিক্ষক মো. তারেক রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট। প্রধান শিক্ষক ব্যস্ত থাকেন অফিসের নানান কাজে সারাদিন তিনি একাই ক্লাশ নেন। এতে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
 প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পাঁচজনের স্থলে ২০২০ সাল থেকে মাত্র দুইজন শিক্ষক। তিনি বারবার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবুও জনবল পাননি। এভাবে চললে বিদ্যালয়টি ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান। 
 উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষকের বরাদ্দ না থাকায় সেখানে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার বিদ্যালয়টি দুরবর্তী হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষকরাও ডেপুটেশনে যেতে চাইনা। 
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলবেন।