শিগগিরই দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এতে বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন ৭-৮ জন নতুন মুখ। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কয়েকজন ত্যাগী নেতা ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মূল্যায়ন করা হতে পারে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এরপর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে দলটি। শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। গত সংসদে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন ৪৭ জন। গতবারের ১৪ মন্ত্রী, নয়জন প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি।
দলটির সূত্র জানায়, সরকারের কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। যদিও কবে নাগাদ মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে খুব শিগগিরই মন্ত্রিসভার এই সম্প্রসারণ হতে পারে। এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে। বর্ধিত মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী, জনপ্রিয় ও তরুণ সংসদ সদস্যরা স্থান পেতে পারেন।
এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন থেকে টেকনোক্র্যাট কোটায় কেউ মন্ত্রীও হতে পারেন— এমন গুঞ্জনও চলছে। দ্বাদশ সংসদে ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য মনোনয়ন দিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে। সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বুধবার বিকেলে শপথ নিলেই তারা সংসদে যোগ দিতে পারবেন।
এদিকে এখন পর্যন্ত দুটি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দুজন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আলোচনায় আছে। আগের মন্ত্রিসভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মন্নুজান সুফিয়ান। তাকে এবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, এমন আলোচনা চলছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত একজন সদস্যকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। পাশাপাশি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদটি উত্তরবঙ্গের কেউ পেতে পারেন।পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে যশোর এবং কিশোরগঞ্জের দুজন সংসদ সদস্যের বিষয়ে আলোচনা আছে। একইসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী কিংবা বিভাগ ভাগ করে আরেকজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় আছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দ্বিতীয় দফায় সংরক্ষিত নারী আসন মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন। এ ছাড়া ১৪ দলীয় জোট থেকেও মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।
মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর বিষয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়—এগুলোয় কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের পর নির্বাচিত নারীদের মধ্য থেকে মন্ত্রী হতে পারেন।
dp-asif
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL