আজ ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। ১৯৬৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিবস পালন করা হচ্ছে। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘এক্সিলারেটিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইমস’।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, জাতিসংঘের অধীনে থাকা আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮৬৫ সালের ১৭ মে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন। পরে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন ও ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রেডিও টেলিগ্রাফ ইউনিয়নের একত্রিত নাম হয় আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ)।
দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বার্তা দিয়েছেন। বার্তায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবন, কাজ, স্বাস্থ্য ও কোটি মানুষের শিক্ষা বজায় রাখে। কোভিড-১৯ এর মুখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকার ও ডিজিটাল কমিউনিটি স্থিতিস্থাপক ও উদ্ভাবনী, জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সহায়তা করেছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়গুলো সবজায়গার পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে।
তিনি বলেন, ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষ যা প্রায় বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। আর এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিপদ যেমন ঘৃণা ও ভুল তথ্য, সাইবার হামলা এবং শোষণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবসে, আসুন আমরা কোভিড-১৯ কে পরাজিত করার জন্য একসঙ্গে কাজ করি। নিশ্চিত করি ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলো ভালোর জন্য একটি শক্তি, যা আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে ও কাউকে পিছিয়ে না দেই।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাত তেমন কোন কর্মসূচি রাখেনি। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে ফেসবুক পেজে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL