পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনে ইতোমধ্যেই রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কমলাপুর রেল স্টেশনে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। তবে ২-১টি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হলেও এবার ট্রেনে কোনো ভোগান্তির অভিযোগ নেই।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, চেকিংয়ের আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন।
এদিকে, ট্রেনে স্বস্তিতে উঠতে পেরে ঘরমুখী যাত্রীদের চোখে-মুখেও ছিল উচ্ছ্বাস। সবার মুখেই ছিল হাসি। অন্যদিকে, রাজধানীর কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে এবার ভাগ করে ছাড়া হচ্ছে ট্রেন। ফলে কমলাপুরে চাপ কিছুটা কম। যাত্রার পঞ্চম দিনে ৪২টি আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ২টি ঈদ স্পেশাল আন্তঃনগর ট্রেন।
কুড়িগ্রামের রাসেল মিয়া বলেন, আমাদের উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেন একমাত্র ভরসা। যমুনা সেতুতে যে পরিমাণ গাড়ির জট হয়, ঈদের আগে এটি খুবই ভোগান্তির। এ বছর খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা গেছে। এজন্য তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। গতকাল ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আজ ঠিক সময় সকাল ৬টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে।
জানা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় আজ পঞ্চম দিনে মানুষের ভিড় অনেক বেশি রয়েছে। বিকেলের ট্রেনগুলোতে হয়তো আরও বেশি যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL