করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত 'কঠোর লকডাউন' এর দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। তবে প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন রাস্তায় লোকজনকে তুলনামূলক রাস্তায় দেখা গেছে। বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে রাস্তায় প্রথম দিনের মতো পুলিশের কড়া তৎপরতা দেখা যায়নি।
রাস্তায় গাড়ির চাপ না থাকায় বেশির ভাগ সড়ক ফাঁকা থাকলেও পুলিশের চেক পোস্টের কারণে কোনো কোনো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেসব সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি অনেকে।
ব্যাংকসহ জরুরি যেসব অফিস খোলা রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা রাস্তায় নেমে অফিসে পৌঁছাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কর্মীদের অফিসে নিয়ে যেতে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে সরকারিভাবে নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাস্তবে দেখা গেছে অফিসে পৌঁছানোর উপায় কর্মীদেরই খুঁজে বের করতে হয়েছে।
ব্যাংকসহ জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অফিসে যাওয়ার জন্য তাদের কাছে কোনো বাহন না থাকায় রিকশা বা প্রাইভেটকারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সেটাও সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ভাড়াও চাচ্ছেন অনেক বেশি।
সরকার 'কঠোর লকডাউন' আরোপ করলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং শিল্প-কারখানা বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত রেখেছে। ফলে মানুষের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে।
এ দফায় 'কঠোর লকডাউন' কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, 'অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। 'মুভমেন্ট পাস' ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL