বর্তমান সময়ে বিশ্বে সফল নারী শাসকদের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সরকার পঞ্চমবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত নতুন এ সরকারের সামনে এখন নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগুতে হবে। করোনা পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিশ্ব মন্দার কবলে প্রায় সারা বিশ্ব। এর মধ্যে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের সামনে নানামুখী চাপে থাকা অর্থনীতির সংকট মোকাবিলা করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দ্রুততম সময়ে শপথ ও মন্ত্রিসভা গঠন করে আবারো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা সরকারকে এবার শুরু থেকেই দ্রব্যমূল্য কমানো, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জ্বালানি এবং রিজার্ভ সংকট সমাধানে তৎপর হতে হবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। অর্থনৈতিক বিষয়ে বলতে গেলেই বলতে হয় উচ্চ মূল্যস্ফীতির কথা, জ্বালানি সংকট, বিনিয়োগ ও ডলার সংকট মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা নাজুক সময় পার করছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে পেশাজীবীদের সবার মধ্যেই একটা ঐক্যমত্য আছে।
তিনি বলেন, ‘সকলেই মনে করেন মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণটাই হলো মূল চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে যেটা দেখা দিয়েছে যে, সরকারের কর আহরণের পরিস্থিতি ভালো না। একই সঙ্গে ব্যক্তি খাতে যেসব বিনিয়োগ আছে, সেগুলোর জন্য অর্থায়ন করা, বৈদেশিক মুদ্রা দেওয়া এগুলিতে সমস্যা হচ্ছে। এসব কিছু মিলিয়ে আমাদের যে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য সেটার ওপরে বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। টাকার অবনমন ঘটছে। টাকার মূল্যমানকে স্থিতিশীল করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছে।’ নতুন সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিবর্গ বলেন, অর্থনীতি চাঙ্গা করতে যা কিছু প্রয়োজন তাই করবে নতুন সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সালমান এফ রহমান। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এই মুহূর্তে এ সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জটা হলো সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যা যা কিছু করার আমরা করব। যেগুলো সংস্কার করতে হবে সেগুলোও আমরা করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে যে চ্যালেঞ্জটা আছে। সেটা কিন্তু কিছুটা আমরা দেখছি ভালো দিকে যাচ্ছে। কমোডিটির দাম কমে আসছে।
জ্বালানির দামও কিছুটা কমেছে। আমরা আশাবাদী, সংস্কারগুলো প্রয়োজন, যদি আমরা ঠিকমতো করতে পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের অর্থনীতি যে আগের জায়গায় ছিল, সেখানে আমরা নিয়ে আসতে পারব।’ ড. দেবোপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি হলো সেটার মধ্য দিয়ে সরকার এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তি নিয়ে বেরোতে পারবে কি না, যেটার ভেতর দিয়ে সে তার প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করতে পারবে? কারণ যে সমস্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী ছিল যাদের কারণে আগে সংস্কার করা যায়নি তাদেরকেই এই নতুন সরকার মোকাবিলা করার শক্তি নিয়ে বের হয়েছে কি না- এইটাই দেখার বিষয়।’
নতুন সরকারের বড় চিন্তা অর্থনীতি ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন টানা চার মেয়াদের মধ্যে প্রথমবার ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখনো বিশ্ব ছিল অর্থনৈতিক মন্দায়। এর সুফল পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগের দুই বছর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার খাদ্যের দাম নিয়ে মহাসংকটে ছিল। কিন্তু যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তত দিনে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ার সুফল পেয়েছিল বাংলাদেশের মতো স্বল্প আয়ের দেশগুলো। এতে খাদ্যের দাম কমে যায়।
হ্রাস পায় মূল্যস্ফীতির চাপ। ফলে নতুন সরকারের সামনে বড় কোনো সংকট ছিল না; বরং দায়িত্ব নিয়েই ডিজেল ও সারের দাম কমানো হয়। এতে লাভবান হন বোরো ধানের কৃষকেরা। ২০১৪ সাল অবশ্য অতটা মসৃণ ছিল না। বিশেষ করে টানা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাতে অর্থনীতির ক্ষতি ছিল ব্যাপক। ফলে বিনিয়োগ নিয়ে আশঙ্কাই ছিল বেশি। তবে সহিংসতায় ক্ষতি হয়েছে- এই সুযোগ নিয়েই শুরু হয়েছিল খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার মহোৎসব। এরই মধ্যে অর্থনীতি দেখে ফেলেছে বড় বড় অনেক ঋণ কেলেঙ্কারি। হলো- মার্ক, বেসিক ব্যাংক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটে প্রথম মেয়াদেই। পরের পাঁচ বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই, একই সঙ্গে দুর্বল হয়েছে আর্থিক খাত ।
নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম অর্থনীতি। আর এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। কাজটি কতটা পারবেন, সেটাই এখন প্রশ্ন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর যখন টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব নেয় আওয়ামী লীগ, তখনো উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল। কিন্তু ব্যাংক খাতের অবস্থা হয়ে পড়ে আরও নাজুক- আর্থিক কেলেঙ্কারিও বেড়ে যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে, খেলাপি ঋণ ছাড়িয়ে যায় ১ লাখ কোটি টাকা।
তবে সব সময়কে ছাড়িয়ে গেছে এবার। এখন অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি সূচকই নিম্নমুখী। সংকট সব ক্ষেত্রেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ভাষায়, অর্থনীতি এখন তলানিতে। সেই তলানি থেকে অর্থনীতিকে তুলে আনাই এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর অর্থনীতি তলানিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের পাশাপাশি সরকারের ভুল নীতিও অনেকখানি দায়ী। সুতরাং টানা চতুর্থ মেয়াদের আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ। প্রথমত, সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকানো ও ডলারের বিনিময় হারকে স্থিতিশীল করা। এগুলো করতে পারলেই বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরবে। এরপরের কাজ হচ্ছে অর্থনীতিকে আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরিয়ে আনা। এ জন্য সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশ যে উচ্চ প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করতে পেরেছিল, তার প্রধান কারণ সামষ্টিক অর্থনীতি ছিল স্থিতিশীল। অথচ সেটাই এখন হুমকির মধ্যে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি করে একটি স্থিতাবস্থায় নিয়ে আসা। বিশেষ প্রয়োজন উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য ক্ষেত্র ও অভ্যন্তরীণ বাজারে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। তবে নতুন সরকারের পক্ষে এটি করা খুব কঠিন হবে। কারণ বাজার নিয়ন্ত্রণ বা শৃঙ্খলা আনতে যেসব নীতি কার্যকর করতে হয় সেটা বাস্তবায়ন করার মতো নৈতিক তথা রাজনৈতিক অবস্থান সরকারের থাকবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা যাদের কারণে অর্থনীতির এই হাল হয়েছে, সেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আগামী দিনেও একই ধরনের প্রভাবশালী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ সংকটের সমাধান করা কঠিন হবে।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, অর্থনীতির ক্ষেত্রে এখনকার যে সমস্যা, তা তৈরি হয়েছে দুটি কারণে। প্রথমত, আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনের সাংবিধানিক বৈধতা থাকলেও রাজনৈতিক ও নেতিক বৈধতার অভাব ছিল। দ্বিতীয়ত, যারা আর্থ-সামাজিক নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়নি। ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণ, প্রকল্পগুলোর ব্যয় কয়েক গুণ বাড়ানো কিংবা বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ এর অন্যতম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা নিচ্ছে। এজন্য সরকার এখন আইএমএফসহ অন্যদের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেগুলো পরিপালন করতে দরকারি উদ্যোগ, সমন্বয় ও প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
আর সে জন্য দরকার হবে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতিসহ অভ্যন্তরীণ সংস্কারের লক্ষ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। রাজস্ব আয় বাড়াতে না পারলে সরকার বিদেশি সহায়তা নিয়েও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিষয় হবে- প্রবৃদ্ধির ধারা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো, টাকাকে আকর্ষণীয় করা। নির্বাচনের পর অর্থনীতি ঠিক হয়ে যাবে বলে অনেকে যে দাবি করেছিলেন, তা একটা ভ্রান্ত ধারণা বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি রয়েছে নানাবিধ রাজনৈতিক সংকট। নতুন সরকারের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন হবে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ। নির্বাচন হয়ে গেলেও দেশে রাজনীতির সংকট সমাধান হয়নি। রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলকেও মোকাবিলা করতে হবে নতুন সরকারকে। সামনে রাজনৈতিক বিরোধীরা মাঠে কী ধরনের আন্দোলন করে এবং পরিস্থিতি কোনো দিকে যায়, সেটি নিয়ে কারো কারো মধ্যে দুশ্চিন্তা রয়েছে। অর্থনীতির সংকট পূজি করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে কিনা সেটা নিয়েও দুর্ভাবনা আছে অনেকের মধ্যে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাজপথে তাদের মোকাবিলা করাই সরকারের জন্য রাজনীতির চ্যালেঞ্জ। তিনি আরো বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়, যারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে চায় এটাই চ্যালেঞ্জ এবং আমি শিওর ইনশাআল্লাহ নতুন সরকার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো’।
বর্তমান সরকারের জন্য শুধু রাজপথে বিরোধী দল মোকাবিলাই যথেষ্ট নয় এখন। কারণ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে একটা বিভেদ তৈরি হয়েছে বলেই মনে হয়েছে। এই বিভেদ স্থায়ী হতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে। ভোটের পর বিভিন্ন আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও সংঘাত ও সহিংস হামলা হতে দেখা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এবার সংসদে আওয়ামী লীগ বিরোধী তেমন কেউই থাকছে না। তাই সরকারি নীতি বা সিদ্ধান্তের যথাযথ সমালোচনা অথবা সরকারকে চাপ সৃষ্টির মতো কোনো বিরোধিতা হবে না বলেই ধারণা করছেন অনেকে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিহীন নির্বাচনের পর রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইমেজ নিয়ে একটা সংকট থেকে যাচ্ছে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন এ সমস্যা সাময়িক এবং দল এটি সামাল দিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত অভিজ্ঞ, উনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা সেটি দিয়ে তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন। তেতাল্লিশ বছর রাখছেন, আগামী দিনেও রাখবেন।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এখানে রাজনীতি থাকছে না এবং সংসদে যারা বসবেন তাদের মধ্যে সত্যিকারের রাজনীতিবিদের সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন।’
এখানে অন্য কোনো দলের আসলে অস্তিত্বই নেই। এরকম একটি দলবিহীন ব্যবস্থা, অথচ আমরা বলছি বহুদলীয় গণতন্ত্র। এই জিনিসটা আমি বলব, যে একটা তামাসার মতো মনে হয়। তো এই তামাসা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবে কিনা সরকার এটা হলো সবচাইতে বড় কথা। ‘সরকারের রাজনীতির চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ‘প্রতিপক্ষের কাছ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখি না। চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। তারা তাদের গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে পা বাড়াবে কি না- সেইটাই হচ্ছে তাদের চ্যালেঞ্জ।’ আবার অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে উন্নয়ন হয়েছে যোগাযোগ, শিক্ষা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ আরো অনেকে ক্ষেত্রে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে শেখ হাসিনার পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ক্ষেত্রে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে এনেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগাধ দেশপ্রেম আর অকুতোভয় নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক, সুনামগঞ্জ।
DP-ASIF
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL