রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুন নিহত খোকন মিয়া (৩৪) ও রশীদ ঢালীর (৬০) মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকেল তিনটার দিকে খোকন মিয়ার মরদেহ তার স্ত্রী সাজনের কাছে এবং সাড়ে তিনটার দিকে রশিদ ঢালীর মরদেহ তার ছেলে মামুনের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
নিহত রশিদ ঢালীর ভাতিজা মো. বেলাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমি খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসে চাচার মরদেহ শনাক্ত করি। কোমরে তাবিজ, হাতে আংটি, গায়ের পোশাক দেখে চাচাকে চিনতে পারি। পরে তার ছেলে মামুন এসেও চাচার মরদেহ শনাক্ত করে। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
এখান থেকে নেত্রকোনার সদরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
নিহত খোকনের স্ত্রী সাজন জান বলেন, ‘ভাতিজির বিয়ের জন্য আমার শাশুড়ি ও আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে যায়। পরে গতকাল রাতে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর সোমবার রাত ৯টার পর তার সঙ্গে আর আমার কোনো কথা হয়নি। পরে জানতে পারলাম ট্রেনে আগুন লেগে
চারজন মারা গেছেন। কিন্তু আমি আমার স্বামীর মোবাইলে অনেকবার ফোন দিয়েছি, কিন্তু কল যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে দুটি মরদেহ দেখি। এর মধ্যে একটি মরদেহ পাঞ্জাবি পরা, দাঁতে দাগের চিহ্ন ও মুখমণ্ডল দেখে আমার স্বামীকে চিনতে পেরেছি। এখন মরদেহ নিয়ে সুনামগঞ্জে যাবো। সেখানে নামাজের জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।’
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান রহমান। তিনি জানান, দুই পরিবারের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করার পরে। আমরা দুই পরিবারের কাছে দু’টি লাশ ময়নাতন্ত্রের শেষে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলেও জানান তিনি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL