২৪-নভেম্বর-২০২৪
২৪-নভেম্বর-২০২৪
Logo
জাতীয়

পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২৩-১০-০৫ ১৯:০৮:৩৬
...

চট্টগ্রাম নগরে পুলিশের হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক এস এম শহীদুল্লাহর (৬৭) মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নগরের চান্দগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ আলী ও এ টি এম সোহেল রানা। আজ বৃহস্পতিবার নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এম এ মাসুদের সই করা এক আদেশে তাঁদের প্রত্যাহার করে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুদকের সাবেক কর্মকর্তা এস এম শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের স্বার্থে অভিযানে থাকা দুই এএসআইকে থানা থেকে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

আদালতে করা একটি মারামারির মামলায় পরোয়ানা থাকায় গত মঙ্গলবার রাতে নগরের চান্দগাঁওয়ের বাসা থেকে শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন সাদাপোশাকে থাকা দুই এএসআই ইউসুফ আলী ও সোহেল রানা। থানায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


পরিবারের দাবি, হৃদ্‌রোগের রোগী শহীদুল্লাহকে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ওষুধ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, শহীদুল্লাহকে ওসির কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁকে থানায় কোনো নির্যাতন করা হয়নি। ওসির কক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ মিলে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ হৃদ্‌রোগ।

এস এম শহীদুল্লাহর ছেলে নাফিজ শহীদ গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাদাপোশাকে চান্দগাঁও থানা-পুলিশের দুই এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) তাঁর বাবাকে বাসা থেকে থানায় নিয়ে যান। পরে তাঁরা জানতে পারেন, মারামারির একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এস এম শহীদুল্লাহ দীর্ঘদিন থেকে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন উল্লেখ করে নাফিজ শহীদ বলেন, তাঁর বাবাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা ওষুধ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ দিতে দেয়নি।

নাফিজ শহীদের অভিযোগ, হৃদ্‌রোগীকে ওষুধ দিতে না দেওয়াও এক ধরনের নির্যাতন এবং পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর সাজা দাবি করেন তিনি।