২৪-নভেম্বর-২০২৪
২৪-নভেম্বর-২০২৪
Logo
জাতীয়

বন্ধের পথে চার হাজার কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৩-০৯-১৪ ১৭:২০:৫২
...

কখনো গানে গানে, কখনো টিকটক, নাটক-বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইভিএমের প্রচারণা চালিয়ে গত পাঁচ বছর বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছে নির্বাচন কমিশন। বিপুল অর্থ ব্যয়ে ভোটের মেশিন কিনে, ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচারণার পর শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই প্রকল্প।

ইভিএম প্রচারণার উদ্দেশ্য ছিলো জাতীয় সংসদে বড় পরিসরে ব্যবহার করে ভোটে স্বচ্ছতা ফেরানো। কিন্তু সেই ইভিএম এখন ইসির গলার কাঁটা। নতুন করে মেরামতের টাকা না পাওয়ায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প এখন বন্ধের পথে। 

গত পাঁচ বছরে ছয়টি সংসদীয় আসনের ভোট, উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম এ করা হলেও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগই সফল হয় নি। সেই সাথে মেরামতের টাকা না পাওয়ায় এই প্রকল্প থেকে এখন পিছু হটছে কমিশন।

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিব হাসান বলেন, আগামী জুন মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ আছে। আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এর মধ্যে কমিশনকে সব কিছু বুঝিয়ে দিতে।

প্রতিটি ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় তখন যে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হয়েছিলো তার বড় একটি অংশ দেশের নির্বাচন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় গত ৫ বছরে এসব ইভিএম'র প্রায় অর্ধেকই নষ্ট হয়ে গেছে। 

মেরামতের জন্য ১২শ কোটি টাকা সরকারের কাছে চেয়েও না পাওয়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার হচ্ছে না ইভিএম। সেই সঙ্গে স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার নিয়েও নিশ্চিত নয় কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নতুন বাজেটে ইভিএমের ব্যয় নেই। পরবর্তীতে যদি রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমে নির্বাচন না চায় তবে প্রকল্প যতদিন আছে ততদিনই থাকবে ইভিএম।

চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের জুনে শেষ হবে এই প্রকল্প। নতুন করে আর মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগও নেই ইসির। তাহলে এই বিপুল অংকের টাকায় কেনা ইভিএমের ভবিষ্যৎ কী? 

এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পরেই আমরা এই বিষয়ে চিন্তা করবো। এখন এগুলো নিয়ে ভাবছি না।

এদিকে মেরামত না করে ইলেক্ট্রনিক্স এই ডিভাসগুলো ফেলে রাখলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির শঙ্কার কথা বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।