বাংলাদেশের কেউ ইসরাইল সফর করলে শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, কোনো বাংলাদেশি যদি ইসরাইল সফর করেন, তবে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ভ্রমণ করা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিইনি, সে জন্য আমাদের অনুমতির প্রশ্নই ওঠে না।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফিলিস্তিন জনগণের জন্য মেডিকেলসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদানের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে সামনে রেখে ইসরাইল বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইল বাদে’ এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কারণে এবং এর সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার সময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিষয়টি সামনে চলে আসে।
তিনি বলেন, আমি আবারও বলতে চাই— আমাদের ফিলিস্তিন ও ইসরাইল নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাই না, এ বিষয় নিয়ে কেউ আবার ঝামেলা তৈরি করুক।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে একে আবদুল মোমেন বলেন, ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা ফিলিস্তিনের পাশে থেকেছি। তবে আমরা ইসরাইলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না। যতদিন আমরা ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি, ততদিন কোনো বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারবেন না।
অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল এবং আছে। সম্প্রতি এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিরা আমাদের জন্য অনেক সহায়তা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য সংগ্রহ করা অর্থ কীভাবে সেখানে পাঠানো হবে, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই অর্থ দিয়ে মেডিকেলসামগ্রী কিনে পাঠানো হবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL