মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে দিতে দুই দেশের মধ্যে আলাপ চলছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ বুধবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠানো হবে।অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘গত দুদিনের তুলনায় আজ গোলাগুলির পরিমাণ অনেকটা কমে এসেছে। এর আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ছোড়া গোলাবারুদ ও মর্টার শেলের অংশ আমাদের সীমান্তে আসায় দুজন মারা গেছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বিজিবিকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের সময় যদি সীমান্তরেখায় গোলাগুলি হয়, তাহলে গোলাবারুদের কিছু কিছু অংশ আমাদের সীমান্তে চলে আসে। সেই সম্ভাবনা যাতে শূন্যে চলে আসে, সে জন্য গতকাল আমি মিয়ানমার দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাকেও বিষয়টি বলেছি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাই বলেছেন।’
সীমান্তের সব বাসিন্দাকে সরে যেতে নির্দেশ দেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তুমব্রু ও ঘুমধুম ছাড়াও অন্য সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে। তবে আমরা এখনই সীমান্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরতে বলব না। কারণ এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন সরে যেতে বলব।’
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত দিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পত্রালাপ হচ্ছে উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত দেওয়া হবে। মানবিক কারণে ২৬৪ বিজিপি সদস্যকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন নারী ও দুজন শিশু আছে।’
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং আহত বিজিপি সদস্যদের দেখতে তিনি হাসপাতালেও যান মহাপরিচালক।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL