আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু পবিত্র রমজান মাস। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। রমজান মাস শুরুর আগে শেষ শুক্রবার আজ। এদিন ছুটি থাকায় রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাজারে এসেছিলেন অনেকেই। তবে আগেভাগেই বেশিরভাগ পণ্যের দর বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
ক্রেতারা বলেছেন, আগের রমজান থেকে এ রমজানে খেজুর, ছোলা, ডাল, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে। যা অনেকটা নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলা চলে।
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। গতবছর বাজারে এ সময় ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। সেই হিসেবে এবার কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। খেসারি ডালের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। যা আগে ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল।
বাজারে এখন এক কেজি সাধারণ মানের খেজুরের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর রোজার আগ মুহূর্তে এ ধরনের খেজুরের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া ভালো মানের খেজুর ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, যা গত রমজানের থেকে ৪০০ টাকা বেশি।
কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়া বলেন, এবার রোজার অনেক আগেই ছোলা, খেসারি ডালসহ রমজানের প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বেড়েছে। তবে চিনির দাম আগের অবস্থায় আছে। তেলের দাম কমলেও নতুন দরে তেল বাজারে আসে।
বাজার করেতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী তৌহিদুর রহমান বলেন, রমজানের প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। যে টাকা নিয়ে এসেছি তা দিয়ে ভেবেছিলাম সব প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবো, কিন্তু দাম বেশি থাকায় সব কিছু কেনা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, রমজান এলেও কমছে না পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দাম। গতবছর রোজার আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সেই দাম এখন প্রায় তিন গুণ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০থেকে ১৩০ টাকা। সেই হিসেবে এক কেজি পেঁয়াজে বেশি খরচ হবে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও রসুন ২২০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত রমজান থেকে প্রায় প্রতি কেজি ১০০ টাকা বেশি।
dp-asif
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL