দেশে তাপমাত্রা গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমলেও তাপপ্রবাহ কাটেনি। ফলে কমেনি গরমও। এই অবস্থায় রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এসেছে জনজীবনে।
আবহাওয়া অধিদফতর আগে বলেছিল, বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলেও মে মাসে এপ্রিলের চেয়ে তুলনামূলক বৃষ্টিপাত বেশি হবে। এছাড়া মাসের প্রথম সপ্তাহে বাড়বে কালবৈশাখী ঝড়ও।
রোববার (২ এপ্রিল) দিনভর খরতাপ না থাকলেও জলীয় বাষ্পের কারণে ভ্যাপসা গরম ছিল। বিকেল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মেলে পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিকেলে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর,ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ এলাকাসমূহে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীতেও তার ধারাবাহিকতায় রাত দশটার দিকে হঠাৎ ধুলিঝড়ের পর নেমে আসে বৃষ্টি। তবে আবহাওয়াবিদদের ভাষায়, এটা খুব সামান্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত। কিন্তু এই বৃষ্টিপাতের কারণে গরম বলতে গেলে আপাতত কেটে গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম দক্ষিণ দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কি.মি., যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।
এদিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, পাবনা, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়া অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কোনো কোনো স্থান থেকে প্রশমিত হতে পারে।
মঙ্গলবার নাগাদ বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
রোববার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নিকলিতে, ৭৫ মিলিমিটার।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL