নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর অনেক সমস্যা হচ্ছে বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষের। মিয়ানমার তাদের নিচ্ছে না, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অত্যন্ত পিসফুলি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ‘নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারে লংবিচ হোটেলের বলরুমে এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে র্যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের জায়গা ছোট, কিন্তু মানুষ অনেক বেশি। অথচ তার ওপরে দেখেন মিয়ানমার বড় রাষ্ট্র হয়েও তারা তাদের নাগরিকদের বিতাড়িত করছে। রোহিঙ্গার ঢল যখন নামল তখন অনেকেই বলেছিলেন আটকে দিই। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবিকে বললেন, তোমরা সীমান্ত থেকে সরে দাঁড়াও, ওরা আসুক ওদের আসতে দাও।
তখন প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন, তোমাদের মনে নেই, বাংলাদেশের কয়েক কোটি লোক, স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল জীবনটা হাতে নিয়ে। ঠিক সেই রকমই ওরা (রোহিঙ্গারা) পালিয়ে এখানে আসছে। ওদের জীবন রক্ষার সুযোগটা আমরা দিতে চাই। যদিও এখন অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যাতে করে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে পারে। খুবই পিসফুলি চেষ্টা চলছে। র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য।
উল্লেখ্য, অপরাধকে না বলুন স্লোগান ধারণ করে অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক সামপ্রতিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)।
নতুন এ কর্মসূচি ‘নবজাগরণ’ এর আওতায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বা ঝুঁকিতে থাকা ৩৬ নারী-পুরুষকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ গ্রহণ করে র্যাব। তাদের মধ্যে হোটেলের সার্ভিস বয় ৬ জন, সার্ফিং ৫ জন, টুরিস্ট গাইড প্রশিক্ষণ ৫ জন, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণ ৫ জন, সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ ১০ জন, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৫ জনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL