কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিহত ও আহতের সংখ্যা বাড়ছে। অনিরাপদ কর্ম পরিবেশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চলতি বছরে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪৩২ জন। গত বছরে নিহত হয়েছিলেন ৯৬৭ জন। ২০২৩ সালের আহত হয়েছেন অর্ধ হাজার শ্রমিক। ২০২২ সালে যা ছিল ২২৮।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় অকোপেশনাল সোসাইটি হেলথ অ্যান্ড অ্যানভায়রমেন্ট (ওশি)।
সংবাদ সম্মেলনে ওশির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এস এম মোর্শেদ জানান, এই প্রতিবেদন তৈরিতে সংবাদপত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে যা যাচাই করা হয়ও।
ওশির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৬৩৭ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১২৭ জন। নিহতের তালিকায় রয়েছেন ২২০ দিনমজুর, এই খাতে আহতের সংখ্যা ৭৬। নির্মানখাতে নিহত ১৪৯ এবং আহত ৭২ জন। মারা গেছেন ১৪৬ কৃষিশ্রমিক (যাদের মধ্যে বজ্রপাতে মারা গেছেন ৭১ জন) এবং আহত হয়েছেন ১০ জন। পোশাকশিল্পে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ৬৪ ও ৮৯ জন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নিহত ৯৪ ও আহত ১৫ জন, মৎস্য খাতে নিহত ৫৩ ও আহত ২২ জন, সেবাখাতে নিহত ২৬ ও আহত ২২ জন, সিরামিক খাতে নিহত ১৭ ও আহত ৯ জন, চামড়াশিল্পে নিহত ৪ ও আহত ১৭ জন, ইটভাটা/ব্রিকফিল্ডে নিহত ১১ ও আহত ৬ জন, জাহাজভাঙা/শিপব্রেকিংয়ে নিহত ৭ ও আহত ২৯ জন, চাশ্রমিক নিহত ১ ও আহত ৬ জন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিহত ৩ ও আহত ২ জন।
নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির জন্য শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা যুগপোযোগী করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এ সময় দশ দফা সুপারিশ করা হয়।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL