কালকিনি (মাদারীপুর) :
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামের আলমগীর বেপারীর(৫৫) গোয়াল ঘর থেকে. ৪ টি গরু চুরি হয় গত ১৬ জানুয়ারি রাতে। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আলমগীর বেপারী। অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি রাতে কয়ারিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ গ্রামের বিউটি বেগমের(৫০) একটি গাভিন গাই চুরি হয়। সে ঘটনায়ও কালকিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী বিউটি বেগম।
ভুক্তভোগীদের দাবি গরু চুরির ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গরুর দালাল ও কসাইদের একটি সিন্ডিকেট। তাদের বিরুদ্ধে গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ততার যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে দেয়া হয়েছিলো কালকিনি থানা পুলিশের কাছে । কিন্তু তার পরেও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নেননি বলে গরু চুরির ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অনেকেই এলাকায় এসে থানায় অভিযোগ করায় অভিযোগকারী ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়ার মাদারীপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরে কোর্ট আদেশ দেন মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের জন্য।
জানা যায়, এই চক্রের সদস্যরা গত তিন চার বছরে নাজিরপুর, মোল¬ারহাট, কয়ারিয়া, সাহেবরামপুর, নতুন আন্ডারচর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আনুমানিক দুই শতাধিক গরু চুরি করেছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেখানে গরু জবাই করতে কমই দেখা যায়। এ নিয়ে দির্ঘদিন ধরে জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। বিভিন্ন কারণে তাদের কেউ কিছু বলতে পারে না কারণ তাদের পেছনে কোন এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে বলে মনে করেন সুধীমহলের অনেকে। কালকিনি থানায় অভিযোগ দিয়ে কোন ফল না পেয়ে মাদারীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। মামলার তদন্তের ভার দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। মামলার পরেও এলাকায় নির্বিগ্নে চলাচল করছে আসামীরা। তবে দ্রুত এর বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস পুলিশের।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী বিউটি বেগম বলেন, আমি গরু চুরির ঘটনায় কালকিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করায় গরু চোর চক্রের মূলহোতা আবুল ফকির, জুয়েল ফকির, রাসেল সিকদার,মনির সিকদার (কসাই) ও রাসেল ফরাজি সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আমাকে ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলবে এবং হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। গর চুরির বিষয় কালকিনি থানায় অভিযোগ করলেও, কালকিনি থানা পুলিশের ভুমিকা রহস্য জনক হওয়ায় আদালতে মামলা করেছি। চোর চক্রের সদস্যরা নির্বিগ্নে এলাকায় ঘুরাফেরা করছে ও আমাকে হুকমি দিচ্ছে।
চুরির ব্যাপারে কয়ারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য জাকির ফকির বলেন গরু চুরি আমার এলাকায় হয়েছে তাই চোরতো তাহলে এলাকার। চোরদের সনাক্ত করা হয়েছে এবং মিমাংসা চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, কোর্ট থেকে মামলার কাগজ এসেছে। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL