গাজীপুর
গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার আমতলা এলাকার শিক্ষার্থী মো. আবু সায়েম বর্তমানে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তার বাসায় গ্যাসের সমস্যা গত একসপ্তাহ ধরে। তাই তিনি বাসার রান্নাবান্নার কাজে মাকে সহায়তা করতে ইটের সাময়িক চুলা তৈরি করে দিয়েছেন। যার মাধ্যমেই প্রতিদিন রান্না হচ্ছে তার বাসায়।
আবু সায়েম বলেন, একসপ্তাহ ধরে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ এবং গ্যাস এর সমস্যা৷ যার ফলে বাসায় মাটির চুলা তৈরি করে প্রতিদিন রান্নাবান্নার কাজ করতে হচ্ছে। গ্যাসের সমস্যাটা তীব্র হয় ৮ থেকে ৯ জানুয়ারীর পর থেকে। যদিও জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে মাঝে মাঝে দিনে কয়েকঘন্টা গ্যাস থাকতো না কিন্তু বর্তমানে এটা তীব্র হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় শুধু রাতে ১২ টার পর থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসায় এবং এলাকায় বেশিরভাগ মানুষই চাকুরীজীবি আমার বাবাও চাকুরীজীবি সকালে গ্যাস না থাকার কারণে আমাদের বাসা সহ আশেপাশের প্রায় সবাই ইট দিয়ে অস্থায়ী চুলা৷ বানিয়ে রান্না করছে।
তীব্র এই গ্যাস সংকটে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। গাজীপুরের কোনাবাড়ি, কাশিমপুর থানার অধিকাংশ এলাকায় একসপ্তাহ ধরে নেই গ্যাস। যার ফলে মাটির চুলা স্থাপন করে দৈনন্দিন রান্নাবান্নার কাজ করছেন গৃহিনীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ির দেওয়ালিয়া বাড়ী, পারিজাত, বাইমাইল, হাউজিং, জেলখানা রোড, আমবাগ, সেলিমনগর,তেঁতুল তলা কাশিমপুরের জরুন, হরিণাচালা, বারেন্দ্রা, এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
কাশিমপুর বাগমারা এলাকার শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার দৃষ্টি বলেন, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হঠাৎ করে গ্যাস ছিলো না। যার ফলে আমাদের রান্নাবান্না বন্ধ ছিলো। বাসায় চুলা জ্বলেনি।
গাজীপুরের তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশনের মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শাহাজাদা ফরাজি বলেন, গ্যাসের প্রেশার কম শীতের কারনে গ্যাস পায় না। গ্যাস বরফ হয়ে যায়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এবং শীতের পরিস্থিতি কমে গেলে এই বিদ্যমান সমস্যা কেটে যাবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL