নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে মো. মিশালের মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে মিশালের অবস্থাই সবচেয়ে গুরুতর ছিল। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। শ্বাসনালিও পুড়ে গেছে। চিকিৎসাধীন মাহফুজ, সাব্বির ও মিনহাজের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান এই চিকিৎসক। ফতুল্লার মাসদাইরের পতেঙ্গা এলাকায় সোমবার রাত ১২টার দিকে ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন পোশাকশ্রমিক মো. মিশাল, তার স্ত্রী মিতা বেগম, শিশুকন্যা আফসানা আক্তার, শিশুপুত্র মিনহাজ, চাচাতো ভাই মো. মাহফুজ ও ফুফাতো ভাই সাব্বির হোসেন। তাদের মধ্যে মিশালের শরীরের ৯০ শতাংশ, মাহফুজের ৮০ শতাংশ, সাব্বিরের ৪২ শতাংশ, মিনহাজের ৪০ শতাংশ, মিতার ১৪ শতাংশ এবং আফসানার ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস লিক হয়ে ওই ফ্ল্যাটে জমে ছিল। সেই থেকেই বিস্ফোরণ হয়। দগ্ধ মিতার মা রাহেলা বেগম বলেন, রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন মিশাল। অন্যরা বাড়িতেই ছিল। কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার পড়ে ছিল। বিস্ফোরণে তিনটি কক্ষে আগুন ধরে যায়। ফ্ল্যাটে থাকা আসবাব পুড়ে গেছে; দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। এ ঘটনার আগে শুক্রবার রাতে ফেনী পৌরসভার দক্ষিণ চাড়িপুরের একটি ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ হয়। দগ্ধ হন মা ও দুই মেয়ে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে পরদিন ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নুরুন্নবী জানান, চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে ফ্ল্যাটে জমে ছিল। তা থেকে বিস্ফোরণ হয়। দগ্ধ মা ও এক মেয়ে এখনও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আরেক মেয়েকে শনিবার চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL