২৪-নভেম্বর-২০২৪
২৪-নভেম্বর-২০২৪
Logo
ঢাকা

রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙ্গার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছি: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০২-০৮ ১৭:০৯:১২
...

গাজীপুর :
কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিদ্ধো উপাধক্ষ মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকলে তাকে কিভাবে ধ্বংস করা যায়, তার জন্য প্রক্রিয়া কি, সেটা উদ্ভাবন করে অলরেডি কাজ শুরু করেছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্য কাজ করছি।

হাটবাজারে যারা মজুতদারী করে তাদের অনুরোধ করবো তারা যেন এই হারাম ব্যবসা কেউ না করেন। আল্লাহর রসুলও বলেছেন, তেজারতী করো কিন্তু হারাম তেজারতী কেউ করবে না। আমি তাদেরকে অনুরোধ করি রমজান মাসে যাতে আমরা সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনা করতে পারি তারজন্য সহযোগিতা করবেন।

তিনি উপস্থিত কৃষি সচিবকে ইঙ্গিত করে বলেন, ওনি একজন কৃষিবিদ। ওনারা ঘর চালান, পরিবার চালান। অতএব বুঝতেই পারছেন, পণ্যের দাম বাড়লে ওনাদেরও মাথা গরম থাকে।

বৃহস্পতিবার সকালে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

এরআগে মন্ত্রী ব্রি’ উদ্ভাবিত প্রযুক্তি, ধানের জাত ও যন্ত্রপাতির স্টল পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, মন্ত্রী ব্রি’র বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিজ্ঞানীরা আরো বেশি করে গবেষণা করেন উৎপাদন যাতে আরো বেশি হয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের যে মেধা আছে, তারা আরো এগিয়ে যাবেন। আমাদের দেশের অর্থনীতির শতকরা ৮০ভাগ নির্ভর করে কৃষির উপর। কৃষিকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে পারলে আমাদের অভাব থাকবে না। দারিদ্র বিমোচন শেষ হয়ে যাবে।

যে জাতি এগিয়েছে তারা গবেষণার মাধ্যমেই এগিয়েছে। আমাদের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণার কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও গবেষা কাজে জোর দিতে বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি যদিও একজন বিজ্ঞানী নই। তিনি নিজেকে চাষী পরিচয় দিয়ে বলেন, চাষাবাদ করলে যে ফল পাওয়া যায় বা উৎপাদন পাওয়া যায়, এটার চেয়ে আনন্দ বেশি কিছু হতে পারে না। আমাদের বিজ্ঞানীরা দিন দিন পর পর যে একেকটা ভ্যারাইটি আবিস্কার করে যাচ্ছেন তা থেকে বিশ^কে বুঝিয়ে দেয়ার সুয়োগ এবং যোগ্যতা হয়েছে বাংলাদেশেও পারে। আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে এখন যে কোন আবিস্কার অসম্ভব বলে আর বিশ্বাস করে না। আমিও অনেক কিছু কৃষি বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে শিখতেছি। কৃষিমন্ত্রী হলে কি হবে এ ক্ষেত্রে অনেক বিষয় আছে যেগুলো না জানলে অনেক কিছু সিদ্ধান্ত দেয়া বা পরিকল্পনা গ্রহণ করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। তিনি বিজ্ঞানীদের আবিস্কারগুলো গণমাধ্যমে প্রচার করার অনুরোধ করেন সাংবাদিকদের কাছে। এতে বিজ্ঞানী ও কৃষকরা উৎসাহ পাবে এবং কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনে বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারবে। ইরি যেমন ফিলিপাইনকে বিশে^ পরিচয় করে দিয়েছে ব্রি ও আমাদের বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করে দিয়েছে। আমাদের বিজ্ঞানীদের মাথায় যে মেধা আছে সেটা অনেক দেশেও পাওয়া যায় না। তাদেরকে গবেষণার সব একটা একটা করে বুঝিয়ে দিতে হয়, তারপর তারা বুঝে, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা ইশারা দিলেই বুঝে যায়। আমি আশা করছি আমাদের বিজ্ঞানীরা আরো এগিয়ে যাবেন। এরজন্য মন্ত্রণালয় থেকে যতটুকু সাপোর্ট দরকার আমারা তা দেব। কৃষিমন্ত্রী পরে ব্রি’র বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দেন। মন্ত্রী ব্রি’তে পৌঁছালে ব্রি’র মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এসময় তার সঙ্গে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ব্রি’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, ইরি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি হুমনাথ ভান্ডারি, এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জ্যাকুন শি, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক বাদল চন্দ্র বিশ^াস, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।