ক্রীড়া ডেস্ক:
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ; বদলে দিতে যাচ্ছে ফুটবলের ইতিহাস। নতুন ধাঁচের বৈশ্বিক এক টুর্নামেন্টের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তিনটি দেশে-কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে। ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮টি দেশ। আর প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব শুরু হবে ৩২ দল নিয়ে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে বিশ্বকাপের ব্যাপ্তি ও ম্যাচের সংখ্যাও। ৩০-৩২ দিনের বদলে আগামী বিশ্বকাপ হবে ৩৯ দিনের, ম্যাচের সংখ্যা ৬৪ থেকে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১০৪টিতে!
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বকাপের শিডিউল ঘোষণার অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এ সময় কোন ভেন্যুতে কোন ম্যাচ হবে, জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
আগামী ১১ জুন মেক্সিকোর আজকেতা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২৩তম আসর। আজকেতা স্টেডিয়ামের চেয়ে বেশি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার সৌভাগ্য হয়নি বিশ্বের অন্য কোনো ভেন্যুর। ১৯৭০ সালে সেখানেই ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল, পেলে জিতেছিলেন তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। এর ১৬ বছর পর এই স্টেডিয়ামেই ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন। ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও এই দুই বিশ্বকাপ মিলিয়ে আরও ১৭টি ম্যাচ হয়েছে মেক্সিকোর এই বিখ্যাত স্টেডিয়ামে। ২০২৬ এ হবে বিশ্বকাপের ২৩তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ।
টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল হবে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস ও আটলান্টা শহরে। তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচ হবে লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি শহরে। আর ১৯ জুলাই নিউইয়র্ক শহরের নিউ জার্সি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে আসরের।
৩৯ দিনের এই আসরে ১০৪টি ম্যাচ হবে তিনটি আলাদা দেশে; যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার ১৬টি শহরে। ১২ জুন লস এঞ্জেলসে হবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ম্যাচ, একই দিন টরোন্টোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে হবে ৯টি ম্যাচ।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL