৪০ বছরে পা দিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বয়স কেবলই একটা সংখ্যা, এই প্রবাদ প্রমাণ করতেই যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মাঠ। তবুও চারদিকে ফিসফাঁস, কবে অবসর নিচ্ছেন এই সুপারস্টার?
সমালোচকদের অবশ্য তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন এই তারকা। জানিয়েছিলেন, যতোদিন ফিট থাকবেন, ততোদিন চালিয়ে যাবেন খেলা। এমনকি চলতি বছরের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও মাঠে থাকার আশা রোনালদোর।
বর্তমানে বেশ ভালো অবস্থানেই আছে পর্তুগাল। সিআরসেভেন ছাড়াও দারুণ সব খেলোয়াড় রয়েছে দলের প্রত্যক বিভাগে। তাই আসন্ন ইউরো চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অনেক ফুটবলবোদ্ধা দলটিকে রেখেছেন এগিয়ে। তবে শিরোপা জিততে হলে বাদ দিতে হবে দলের স্টার রোনালদোকে। এমন মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরো জয়ী সাবেক ডিফেন্ডার ফ্র্যাঙ্ক লেবোউফ। তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়, এই গ্রীষ্মের ইউরো চ্যাম্পিয়ন শিরোপার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী পর্তুগাল। এটি আসলেই সম্ভব, যদি তারা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া খেলে।
মূলত রোনালদোর বয়সের কারণেই এমনটা বলা। তবে এখনও তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলছেন এই পর্তুগিজ তারকা। নিয়মিতই গোল পাচ্ছেন সৌদি প্রো লিগেও। দল থেকে বাদ দিতে বললেও রোনালদোর অর্জনকে ছোট করছেন না সাবেক এই ফরাসি তারকা। বলেন, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য হালকা লিগে খেলতে যাওয়া নিয়ে আমার সমস্যা নেই। লিওনেল মেসির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তারা দুজনই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। এখন তারা শীর্ষ স্তরে খেলছে না, এটাও আমাদের সম্মান করতে হবে। তারা ফুটবলের জন্য যা করছে, তা আপনি কখনোই কেড়ে নিতে পারবেন না।
বর্তমান দলের মতো প্রায় একই টিম নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলো পর্তুগাল। কিন্তু পার হতে পারেনি কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি। ১০ জনের মরক্কো দলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়। ফর্মে না থাকায় তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন রোনালদোর দলে থাকা নিয়ে। পরে তার পরিবর্তে সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠেছিলেন গঞ্জালো রামোস।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL