০৩-ডিসেম্বর-২০২৪
০৩-ডিসেম্বর-২০২৪
Logo
বিনোদন

একসময় সর্বস্বান্ত ছিলেন ‘টুয়েলভথ ফেল’র নায়িকা, সাফল্য পেলেন কীভাবে

বিনোদন ডেস্ক:
প্রকাশিতঃ ২০২৪-০২-২৬ ১২:০৬:৩৬
...

বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমাটি গত বছর মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া ফেলে দর্শকমেহলে। যা নিয়ে রীতিমত শুরু হয় নানা আলোচনা ও চর্চা। স্বল্প বাজেটের হলেও সুপারহিট হয় সিনেমাটি। এতে মনোজকুমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। আর তার প্রেমিক শ্রদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মেধা শঙ্কর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সিনেমাটিতে শ্রদ্ধা চরিত্রে অভিনয়ে করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেত্রী মেধা। রাশমিকা মান্দানা, তৃপ্তি ডিমরির পর রাতারাতি ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’ তালিকায়ও যুক্ত হয়েছে তার নাম। ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার আগে এতটা আলোচনায় না থাকা এই অভিনেত্রীর খুব কঠিন সময় কাটাতে হয়েছে।

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ২০১৮ সালে অভিনয়জীবন শুরু হয় মেধার। বছর খানেক পরই হানা বসায় মহামারি করোনাভাইরাস। এতেই সর্বস্বান্ত হয়ে যান তিনি। ব্যাংকে মাত্র ২৫৭ টাকা ছিল তার। খুব কঠিন সময় পার করে মাত্র পাঁচ বছরেই ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার মাধ্যমে সাফল্যের দেখা পান তিনি। এতে একটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন মেধা

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মেধা বলেন, ২০২০ সাল বিশ্ববাসীর জন্য কঠিন সময় ছিল। আমার জন্যও কঠিন ছিল। কারণ আমি পুরোপুরি সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিলাম তখন। আমার অ্যাকাউন্টে মাত্র ২৫৭ টাকা ছিল।

ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন মেধা। পরবর্তীতে ফ্যাশনের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। এ কারণে নয়াদিল্লির একটি কলেজে ফ্যাশন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেন। কলেজ লাইফেই একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অডিশন দেন। সেখানে নির্বাচিতও হন। সিনেমাটিতে শুটিংও করেন। কিন্তু এর শুটিং শেষ হলেও যা কখনো মুক্তি পায়নি। আর ঠিক ওই সময় থেকেই অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন মেধা।

এরপর কলেজে থাকাকালীনই বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে থাকেন। অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়বেন বলে ২০১৮ সালে নয়ডা থেকে ছুটে যান মুম্বাই। এরপর অবশ্য বেশ ঝড়ঝাপটা পার করতে হয়ে তাকে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার জন্য অডিশন দেন। তখন বুঝতে পেরেছিলেন, চরিত্রটি তিনিই করবেন।

এ ব্যাপারে মেধা বলেন, প্রথম স্ক্রিন টেস্টের সময়ই বুঝতে পেরেছিলাম যে, চরিত্রটি আমার জন্য ছিল। তবে সবশেষ একদিন বিধু সারের কাছ থেকে আমার কাছে ফোন আসে যে, সিনেমাটিতে প্রধান নারী চরিত্রে নির্বাচন করা হয়েছে আমাকে।

dp-asif