২২-নভেম্বর-২০২৪
২২-নভেম্বর-২০২৪
Logo
বিশেষ প্রতিবেদন

কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধনের যাচাইবাছাই চলছে, জুনের পরে অভিযান

দিন পরিবর্তন ডেস্ক

প্রকাশিতঃ ২০২৩-১২-২৯ ২১:১৬:১৮
...

মো.শহিদুল ইসলাম

দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা কিন্ডারগার্টেন নাম নিবন্ধন করতে যারা আবেদন করছেন তাদের যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। আর যারা এখনো আবেদন করেনি তাদের ব্যাপারে আগামী জুনের পরে অভিযান চালানো হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সুত্রে জানা গেছে। ডিপিই তথ্য অনুযায়ী দেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১লাখ ১৪হাজার ৫৩৯টি এর মধ্যে সরকারি ৬৫হাজার ৫৬৫টি এবং বেসরকারি ৪৮হাজার ৯৭৪টি।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থেকে দেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা কিন্ডারগার্ডেন বিদ্যালয়েগুলোকে নিবন্ধন করতে নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয় কিন্ডারগার্টেন নামে কোন বিদ্যালয় থাকবে না, সব রকমের কিন্ডারগার্ডেনকে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে অভিহিত করা হবে। সরকারি এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একই রকমের বই পড়াতে হবে। অথাৎ সরকারি পাঠ্যপুষÍক বই কিন্ডারগার্ডেন বিদ্যালয়েগুলোকেও পড়াতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র বলছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকে প্রথমে থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করতে হবে এবং সাথে প্রয়োজনীও কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সেই কাগজ পত্র যাচাইবাছাই এর পর সহকারি থানা শিক্ষা অফিসার ওই স্কুলে পর্যবেক্ষনে যাবেন এবং রিপোর্ট তৈরি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অনুমোনের জন্য পাঠাবেন। সেখানে আরেক দফা যাচাইবাচাই করে পরে কাগজপত্র প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে সেখান থেকে নিবন্ধন দেয়া হবে।

এ বিষয় ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আবদুল আজিজ বলেন, ঢাকাতে যে সব কিন্ডারগার্ডেন বা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যাক কিন্ডারগার্ডেন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করছে। অনেকই আবেদন করে নাই। যারা আবেদন করে নাই তাদের ব্যাপারে আগামী জুনের পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।নিবন্ধন ছাড়া কোন কিন্ডারগার্ডেন বা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না।

তিনি বলেন, যারা আবেদন করবেন তাদের কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ের নিদের্শণা অনুযায়ী যাচাইবাছাইর পর ঠিক থাকলে প্রথমে এক বছরের জন্য অস্থায়ী অনুমোদন দেয়া হবে। পরে স্থায়ী হওয়ার জন্য জন্য আবার নতুন কাগজ পত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে। পরে কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৫বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হবে।

তিনি আরোও বলেন,বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে যদি নিবন্ধনের আওতায় না আনা যায় তা হলে ইউনিক আইডি করার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা করতে সমস্য হবে। এ জন্যই সরকার নিবন্ধন করা উপর এত জোর দিয়েছেন।

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-১ অধিশাখার উপসচিব আক্তারুন্নাহারের স্বাক্ষর করা বিধিমালাটি ১৩ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। বিধিমালায় স্কুলের প্রাথমিক অনুমোদন, নিবন্ধন, নবায়ন, শিক্ষক নিয়োগ, ভবনের জমির আয়তন, তহবিল গঠন ও পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।