আন্তর্জতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই অলিখিতভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে আরো বেড়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা। ইরান সমর্থিত হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাচ্ছে। আবার ইরাক-সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে ইরাকের ইরান সমর্থিত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো। সেই হামলা প্রতিহত করতে সিরিয়ায় ও ইরাকেও মার্কিন বাহিনী থেমে থেমে হামলা অব্যাহত রেখেছে। সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ছায়াযুদ্ধে কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
যার সবশেষ রূপ দেখা গেছে জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনায়। এতে মার্কিন বাহিনীর তিন সেনা নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি। এই হামলার জন্য পরোক্ষভাবে ইরানকেই দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে। যদিও ইরান সরাসরি এই হামলায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। এবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হাজির হয়েছেন আরো কড়া হুঁশিয়ারি নিয়ে। তিনি বলেছেন, ইরান কারও সাথে যুদ্ধ শুরু করবে না। তবে কেউ যদি উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করে তবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে রাইসির এই হুঁশিয়ারির কথা উঠে এসেছে। ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধ শুরু করব না। তবে কেউ যদি উসকানি দেয় তবে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। আগে যখন তারা আমাদের সাথে কথা বলতে চেয়েছে, তারা বলেছে বিকল্প হিসেবে তাদের হাতে সামরিক পদক্ষেপ রয়েছে। এখন তারা বলছে ইরানের সাথে তাদের সংঘাতে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।’
রাইসির দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক শক্তি কোনো দেশের জন্যই হুমকি নয়। বরং ইরানি সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা বজায় রাখতেই কাজ করে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন জানানো হয়েছে জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পাল্টা ব্যবস্থা নিতে সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের বিভিন্ন ইরান সমর্থিত সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে টানা হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কয়েক দিন ধরে এই হামলা চলতে পারে। তবে কবে থেকে এই হামলা শুরু হবে তা এখনো পরিষ্কার করে জানানো হয়নি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL