নিজস্ব প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ :
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সরকারের উদ্দেশ্য সুশাসন নিশ্চিত করা। এখানে কেউ সেবাদাতা কেউ সেবাগ্রহীতা। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আজ যিনি সেবা দিচ্ছেন আগামীকাল হয়তো অন্য দপ্তর থেকে সেবা গ্রহণ করছেন। তাই সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে হবে। জনসেবাকে সরকার একটা সমন্বিত কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসেছে। এতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত “সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে” সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের সেবা গ্রহীতা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আগামীর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়ন কাঠামো তৈরি করতে হবে। জনগণকে সে প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেবা গ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। জনগণ কিভাবে সেবা পেতে চায় তা উপলব্ধি করে সে পথ খুলে দিতে হবে। তাতেই জনগণ লাভবান হবে। তিনি বলেন, জনগণকে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। 'জনগণের সেবক'- এ তত্ত্ব কর্মচারীদের মধ্যে ধারণ করতে হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইন প্রয়োগে সমান দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের আইন জনগণের অধিকার রক্ষায় যে বাধ্যবাধকতা করে দিয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ভালো কাজ করাই শেষ কথা নয়, সে কাজে জনগণের সন্তুষ্টি অর্জিত হয়েছে কিনা তাও দেখতে হবে।
শুরুতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত বিভাগের প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ আরিফুল ইসলাম। তিনি এ বিভাগের সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত ৬টি অনুষঙ্গ- জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, সিটিজেন চার্টার, এপিএ, ই-নথি, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা ও তথ্য অধিকার নিয়ে বিভাগের অবস্থান তুলে ধরেন। এরপর মুক্ত আলোচনায় সেবা গ্রহীতারা বিভিন্ন সেবা নিয়ে আলোকপাত করেন।
তারপর ভূমি সেবা, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন সেবা নিয়ে সেবাগ্রহীতারা তাদের প্রতিক্রীয়া ব্যক্ত করেন। এরপর কর্মকর্তারা তাদের পরিসেবা আরো কার্যকর ও জনকল্যাণমুখী করার বিষয়ে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এ পর্যায়ে এসিল্যান্ড, ইউএনও, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিক প্রতিনিধিদের মধ্যে আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, সুশীল সমাজের পক্ষে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সেক্রেটারি মোঃ নুরুল আমিন ও আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আমান উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, বিভাগীয় প্রধানগণ প্রত্যয়ী হলে সোনার বাংলা, সোনালী প্রজন্ম গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র। নিজের বুকের মধ্যে দেশকে ধারণ করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL