২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
রান্নাঘর

গলা ব্যথা ও খুসখুসে ভাব সারানোর ঘরোয়া উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-৩১ ২০:২৮:২৪
...

জীবনধারা ডেস্ক:

শীতে জীবাণু অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যায় ছোট-বড় সবাই কমবেশি ভুগে থাকেন। আর ঠান্ডা লাগলেই অনেকের গলা ব্যথা, গলা খুসখুসের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও যাদের টনসিলের সমস্যা আছে, সামান্য ঠান্ডাতেও তাদের গলা ব্যথা বেড়ে যায়। যা খুবই কষ্টদায়ক। খাবার বা পানি গিলতে প্রচণ্ড কষ্ট হয় গলা ব্যথা হলে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।

কারণ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলেই গলা ব্যথা থেকে দ্রুত স্বস্তি মিলবে। কয়েকটি প্রাকৃতিক ভেষজের সাহায্যেই প্রচণ্ড গলা ব্যথা মহূর্তেই কমানো সম্ভব। কয়েকটি উপাদানের মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়েই সারাতে পারবেন এ সমস্যা।

গলার ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়:

গলায় ব্যথা হলে অনেকেই গরম পানির সাহায্য নিয়ে থাকেন। অনেকেই আবার কিছু না করে গলার ব্যথা কাবু হয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গলার ব্যথা কমাতে ব্যবহার করুন মধু এবং গোল মরিচের। মধুর সঙ্গে গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে গলার ব্যথা দূর হবে সহজেই। তাদের মতে, মধুতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। এর সঙ্গে গোল মরিচে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। গলার ব্যথার পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকেও প্রতিরোধ করে।

গলা ব্যথার সমস্যায় আদা চা খুবই উপকারী। আদায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দ্রুত সারায় গলার যে কোনো সমস্যা। এ ছাড়াও চায়ে থাকে নানা উপকারী উপাদান। যা বহু সমস্যার করতে পারে সমাধান। সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে আদা, গুড় ও জোয়ান হতে পারে দারুণ উপকারী। এজন্য সামান্য গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন আদা কুচি ও জোয়ান। দেখবেন সেরে যাবে গলার সব সমস্যা।

গলা ব্যথা বা গলা খুসখুসের সমস্যা সমাধানে লবণ পানি খুবিই কার্যকরী। দুদিন তিনবেলা করে লবণ পানি গার্গল করলেও খুব দ্রুত সেরে যাবে গলা ব্যথা। গলার ব্যথা কিংবা বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলুদ দুধের জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী হলুদ দুধ নিয়মিত রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে স্বাস্থ্যের খুবই উন্নতি হয়। এছাড়া গলায় যদি খুব ব্যথা হয় কিংবা গলা বসে যায়, তাহলে এক গ্লাস গরম দুধে দু চিমটে হলুদ দিয়ে তা রাতে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গলার ব্যথা সারার পাশাপাশি বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যদিও যদি খুব বেশি সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।