২৫-নভেম্বর-২০২৪
২৫-নভেম্বর-২০২৪
Logo
সারাদেশ

কালকিনিতে কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২২-০৭-২৫ ১৯:০৯:২০
...

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পালরদী নদীর পাড় ঘেঁষে তৈরি জাইল্লারহাট এলাকার কালভার্টটি গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।  এতে দুই ইউনিয়নসহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে তাদের প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় গত বছর কালভার্টটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ফেলা ভাঙন রোধের চেষ্টা করে ।  কিন্তূ গত মঙ্গলবার রাতে কালভার্টটির দুই পাশের সংযোগ সড়কে ফাটল ধরে রাতেই তা নদীগর্ভে চলে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পালরদী নদীর পাশে কালভার্টটির মাধ্যমে সিডিখান ইউনিয়ন ও সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক ছিল।  এছাড়াও একই এলাকার চর দৌলতখান ৭নং ওয়ার্ড, সাহবেরামপুরের মধ্য আন্ডারচর ২ নং ওয়ার্ডসহ ৪টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই সড়কে চলাচল করতো।  এসব গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী, যাদের প্রতিদিনই কৃষিপণ্য নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে যেতে হয়।  রয়েছে ২টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৬টি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৪টি হাট-বাজার।  প্রায় ৯ ফুট চওড়া সড়কটির ৩০ ফুট অংশ ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে।  এছাড়া সিডিখান ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে ৪৯নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাইল্লার হাট বাজার, স্থানীয় সত্তার মওলানার মাজারসহ রাস্তার পাশে থাকা অন্তত ৩০টি বসতঘর রয়েছে ঝুঁকির মুখে।

সিডিখান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া শিকদার বলেন, কালবার্টটি ভেঙে নদীতে পরে যাওয়ায় এলাকাবাসি অসহায় হয়ে পরেছে।  আমাদের এলাকা কৃষি নির্ভর কিন্তু কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় এখন কোন কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে পারছে না।  তাছাড়া শিক্ষার্থীরাও এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না।  তাই কতৃপক্ষ যাতে ভাঙন রোধ করে দ্রুত কালভার্টটি তৈরী করে এলাকাবাসির চলাচল স্বাভাবিক করে সেই দাবি জানাচ্ছি।

কালকিনি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আমরা ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সভায় উত্থাপন করছি।  এখন কী অবস্থায় আছে তা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সচিত্র রিপোর্ট পাঠিয়েছি।  আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ওই তিনটি স্থান আমরা পরিদর্শন করেছি ।  খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।