নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া বিআইডবিøউটিসির নাইন নামক ওটার বাস টি উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রায় ১৩ ঘন্টা পর ওটার বাসটি উদ্ধার করা হয়। ওটারবাসটি উদ্ধারের সময় ওটার বাসের ভিতর থেকে কোন মরদেহ পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ উদ্ধার করা হয়েছে ৮ জন এর মধ্যে ৫ জন জীবিত ও ৩ জন মৃত, নিখোঁজ রয়েছে রুহিন নামে ১ জন। নিহতরা হলেন, চুনকুটিয়া চৌধুরি পাড়ার মোঃ আলিফ (১৪), ঢাকার দোহারের ফাহিম (২০) ও কৈবত্যপাড়া এলাকার মোঃ নুরুর আফসার মিঠু। নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে নিখোঁজ রুহিনের পরিবার এখনো অপেক্ষা করছে মরদেহের জন্য। নিখোঁজ রুহিন দক্ষিন কেরানীগঞ্জের খেজুর বাগ এলাকার ছেলে।
জানাগেছে, বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর জন্য উদ্ধারকারি জাহাজ রুস্তম ঘটনাস্থলে যেতে না পারায় সকাল সোয়া ৭ টার দিকে উদ্ধারকারি আরেক জাহাজ অগ্রদুত বেলুন মেথর্ডের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া ওটার বাসটি টেনে পোস্তগোলা ব্রিজের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা নারায়নগঞ্জ থেকে আগত উদ্ধারকারি জাহাজ রুস্তম বুড়িগঙ্গা ওটার বাসটি টেনে তুলে শ্যামপুর ঘাটের পাশে রাখে। জাহাজ উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষনা করলেও নিখোঁজ ব্যক্তিকে এখন খুজছে উদ্ধারকারি দল।
নিখোঁজ রুহিনের মা বলেন, রুহিন ওটার বাসে উঠে ওর বোনকে মোবাইলে কল দিয়ে বলে আমি ওটার বাসে উঠেছি, তুমি রেডি হও। ওদের বাহিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রুহিনের আর খবর পাওয়া যায়নি। আমি আমার ছেলের মরদেহটা চাই।
রুহিনের মামা জানায়, ঘটনাস্থল থেকে রুহিনের ব্যাগ পাওয়া গেছে কিন্তু রুহিনকে পাওয়া যায়নি। রুহিন একটি ছাই রঙ্গের গেঞ্জি ও হলুদ ট্রাউজার পরা ছিল। ওর ব্যাগ খঁজে পাওয়া গেলেও ওর বডি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঢাকার শ্যামপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, ডুবে যাওয়া ওটার বাসটি উদ্ধার করে শ্যামপুর ফায়ার স্টেশনের পাশে নদীর তীরে রাখা হয়েছে। জাহাজের ভিতর কোন মরদেহ পাওয়া যায়নি। তবে একটি পরিবারের অভিযোগ তাদের ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়নি। তার মরদেহ খুজার জন্য উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।
রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিআইডবিøউটিসি এর ওটার বাসটি ঢাকার শ্যামবাজার ঘাট থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে পার হওয়ার সময় আনুমানিক ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। ঘটনার অকেকে সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিদের নিয়ে ডুবে যায় ওটার বাসটি। দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে বিআইডবিøইটিএ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টাগার্ড, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL