গত দুইদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি গরমের স্বস্তির কারণ হলেও সড়কে যাত্রী-পথচারী ও যানবাহন চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে যানবাহনগুলো অনেকটা ধীরগতিতে চলছে। কিন্তু বৃষ্টি উপেক্ষা করে অফিসগামী ও কর্মব্যস্ত মানুষেরা ঘর থেকে বের হলেও যানজটে পড়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গতকাল বুধবারও রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে ভারী যানজট।
যানজট দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা তাদের মনের ক্ষোভ জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে। সকালে মিরপুরের বাসিন্দা মনি উদ্দিন আহমেদ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন- কালশি থেকে ব্যাপক জ্যাম। বিষয় কী! এদিকে উত্তরার বাসিন্দা রায়হান চৌধুরী পোস্ট করেছেন- এয়ারপোর্ট রোডে পরপর দুইদিন জ্যামের রিজনটা অ্যাকচুয়েলি কী! আহসান নামে একজন ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন- রেডিসনের সামনে ৫০ মিনিট ধরে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। কোনো দিকে নড়া-চড়া করতে পারছে না।
অফিসগামীরাও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানজটে পড়ে অনেকটা বিরক্ত হয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসব পোস্ট করেছেন। এদিকে শুধু রাজধানী নয়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী থেকে ঢাকাগামী সড়কে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত রয়েছে ভারী যানজট। আব্দুল্লাহপুর থেকে জসিমউদ্দিন মোড় পর্যন্ত যানবাহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও জসিমউদ্দিন থেকে বিমানবন্দর হয়ে কাউলা যেতে রয়েছে যানবাহনের বড় জটলা।
বিমানবন্দর থেকে শুরু করে খিলক্ষেত, রেডিসন হোটেলের সামনে দিয়ে বনানী-কাকলী থেকে মহাখালী হয়ে সাতরাস্তা, মগবাজার, অপর দিকে খিলক্ষেত, কুড়িল হয়ে নতুনবাজার, বা্রা, রামপুরা হয়ে মালিবাগ, কাকড়াইল পর্যন্ত ভারী যানজট রয়েছে। অপরদিকে বিজয় স্মরণী থেকে শেওড়াপাড়া হয়ে মিরপুর-১০, পর্যন্ত, মিরপুর-১০ থেকে পল্লবী হয়ে কালশি পর্যন্ত ভারী যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে কল্যাণপুর থেকে আসাদগেট হয়ে মিরপুর সড়কের সায়েন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট পর্যন্ত যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে।
উত্তরা থেকে বাংলামোটর অফিসে যবেন মোহাম্মদ রাকিব হাসান। তিনি সকালেই বাসা থেকে বের হয়ে বাসে চড়েছেন। রেডিসনের সামনে গিয়ে পড়েছেন যানজটে। তিনি জানান, রাজধানীতে যানজট অনেক বড় একটি সমস্যা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় যানজট শুরু হেয়ে যায়। আজ বৃষ্টি বাসে বসে আছি এদিকে জ্যাম। না পারছি বের হতে আবার না চলছে গাড়ি। কি একটা পরিস্থিতিতে যে পড়ে আছি।
বৃষ্টির কারণে গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী গণপরিবহনসহ যানবাহনের চলাচলে রয়েছে অনেক ধীরগতি। কারণ গাজীপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চলমান রয়েছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ। কিন্তু মামলার কারণে নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে নির্মাণ সামগ্রীসহ সড়কের রাখা হয়েছে। এছাড়াও সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ থাকার কারণেই ভারী যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সড়কের বিভিন্ন স্থানে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এদিকে যানজটের সমস্যা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরে সমস্যা বেশি। সেখানে যানজটের সৃষ্টি হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে পুরো রাজধানী জুড়ে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL