২৫-নভেম্বর-২০২৪
২৫-নভেম্বর-২০২৪
Logo
অপরাধ

শাহজালালে প্রায় ৬ কোটি টাকার সৌদি রিয়াল জব্দ

আন্তর্জতিক ডেস্ক

প্রকাশিতঃ ২০২২-০৬-৩০ ১৪:২১:২৩
...

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বিপুল পরিমান সৌদি রিয়াল পাচারের চেষ্টাকালে জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম।

আটককৃত সৌদি রিয়ালের মোট পরিমাণ ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫শ’। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার সমপরিমাণ হলো প্রায় ৬ কোটি টাকা।

আজ ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ টিম) মোহাম্মদ আব্দুস সাদেক বাসস’কে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, এ সময় গ্রেফতার এড়াতে এমিরেটস চেক ইন কাউন্টার সংলগ্ন প্যাসেঞ্জার হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রীনিং রুমে লাগেজ ফেলে বিমান বন্দর থেকে কৌশলে পালিয়েছেন যাত্রী মামুন খান।

এদিকে, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী জানান, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের লাগেজ চেকিং হচ্ছিল। সে সময় ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার’স হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রিনিং রুমের স্ক্যানিং মেশিনে লাগেজটি স্ক্যান করা হলে মুদ্রা সদৃশ বস্তুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ সময় লাগেজটির মালিককে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে বিমান বন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থা ও এভিয়েশন সিকিউরিটির উপস্থিতিতে লাগেজটি কাস্টমস হলে এনে খোলা হয়। এ সময় লাগেজের ভেতরে থাকা ৩৪ টি শাটের্র ভেতরের কাগজের বোর্ডের মধ্যে মুদ্রাগুলো বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় রাখা ছিল।

তিনি আরও জানান, ওই বিমানের যাত্রী মামুনকে খুঁজে না পাওয়ায় তার লাগেজের সাথে থাকা ট্যাগ থেকে এমিরেটস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সহায়তায় যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।

ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুস সাদেক বাসস’কে জানান, বুধবার রাতে যাত্রী মামুন খান এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে-৫৮৫) ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য চেক ইন করেন। এ ঘটনায় লাগেজের মালিক ইমিগ্রেশন কমপ্লিট না করেই এয়ারপোর্ট থেকে প্রস্থান করেন।

এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী বলেন, আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা ও লাগেজ ট্যাগের সাথে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত যাত্রীর বিরুদ্ধে বিমান বন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা গুলো কাস্টমস গুদামে জমা রাখা হয়েছে। 

এছাড়াও কাস্টমস অ্যাক্ট ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান কাস্টমস গোয়েন্দার এ কর্মকর্তা।