২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
খুলনা

কনকনে শীতেও বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-১৮ ১৫:০২:৩১
...

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় কনকনে শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে বোরো চাষের জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। জেলার শ্যামনগর, কলারোয়া, তালাসহ প্রতিটি উপজেলা জুড়ে ইরি বোরো ধান লাগানো নিয়ে গ্রামে গ্রামে এখন চলছে উৎসবের আমেজ। ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। কেউ বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন। কেউবা আবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত রয়েছেন।

এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। কৃষকের কাছে হার মানছে মাঘের শীত, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে ধানের আবাদ। গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ করেই বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সকালে দেরি করে খুলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যার পরপরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন।

হাড়কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে কাকডাকা ভোরে কনকনে শীতে মাঠে নেমেছেন গ্রামের কৃষকরা। শীত সব সময় তাদের কাছেই যেন হার মানে। কাশিমাড়ী ইউনিয়নের চাষিরা বলছে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা তাদের। এবার বেশি রোপণ করেছেন ব্রি ধান ৬৭ বিনা ১০ স্থানীয় হাইব্রিড, মিনিকেট, রডমিনি, বাঁশমতিসহ বিভিন্ন জাতের ধান। সরেজমিনে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রচন্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকরা দলবেঁধে বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন।

জানতে চাইলে কাশিমাড়ি ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, শীতের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে। আমরা এ সময়ে বসে থাকলে পরিবার ও দেশের মানুষের পেটে ভাত জুটবে কিভাবে। আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমদের হবে না, গোটা দেশের সমস্যা হবে। গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠে বোরো ধানের চারা নিয়ে যাচ্ছিলেন মিঠু ও আলম নামের দুই কৃষক। তারা বলেন, শুনেছি পৌষ মাঘের শীতে নাকি বাঘ কাঁপে। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশ বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।

প্রাকৃতিক বির্যয়ের সম্মুখীন না হলে কদিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধান ক্ষেত। তার পর সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামছুর রহমান জানান, কাশিমাড়ীর বিভিন্ন মাঠে ইরি বোরো ধান রোপণের ধুম পড়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭০ হেক্টর ধরা হয়েছে। শতভাগ পুরোন হবে আশাবাদী। কেবল ৫% জমিতে রোপণ হয়েছে।