এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কোরবানির সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘুরছেন বিভিন্ন হাটে। সাইজ ও দামে পছন্দ হলে, ক্রয় করে ফিরছেন বাড়িতে। কাঙ্খিত দামের অপেক্ষা করছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
বাগেরহাট প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটে ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী ২২টি পশুর হাট বসেছে। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায়ও অস্থায়ী হাট বসছে বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্যে সব থেকে বড় পশুর হাট ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা গরুর হাট। সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকেই হাজার হাজার পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে হাটটি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া থেকে গরু নিয়ে আসা খামারি মতিয়ার রহমান বলেন, চারটি গরু নিয়ে আসছিলাম। ২টি বিক্রি করেছি। অনেক লোকজন থাকলেও, দাম ভাল বলে না। খুলনার বটিয়াঘাটা থেকে
বাগেরহাটের সিএন্ডবি বাজার এলাকা থেকে গরু কিনতে আসা আফজার হোসেন বলেন, গরুর দাম এবার অনেক বেশি। দেখতেছি, কিন্তু দামে হচ্ছে না। দামে হলেই কিনব।
খাবার ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক পন্যের দাম বাড়ায় গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে ব্যবসায়ী মল্লিক ফারুক হোসেন বলেন, যে ভুষি কিনেছি ৩৫ টাকা সেই ভুষি এখন ৬০ টাকা। ভুট্টার গুড়ি, খৈল, পালিশ সবকিছুরই দাম-ই বেশি। যার কারণে গরুর দামও অনেক। এই দাম বেশি থাকায় গৃহস্থরা গরু ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক হিসেবে নিকেশ করছেন।
শুধু হাট নয় খামারিরা নিজ বাড়িতে বসেও কোরবানির পশু বিক্রি করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেও অনেকে গরু-ছাগল বিক্রি করছেন।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ২২টি হাট বসানো হয়েছে। প্রতিটি হাটে আমাদের ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম রয়েছে। এছাড়া কোন অসাধু ব্যবসায়ী যাতে হরমন বা অন্য কোন খারাপ রাসয়নিক দিয়ে গরু বিক্রি করতে না পারে সেজন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগের নজরদারি রয়েছে বলে জানান তিনি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL