মোস্তাকিম আল রাব্বি সাকিবঃ
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কলস প্রতিক নিয়ে যশোর-৫ মনিরামপুর সংসদীয় আসনে নির্বাচন করেন স্বপন ভট্টাচার্য্য। স্বতন্ত্র প্রার্থী কলস প্রতীকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রায়ত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. খান টিপু সুলতানকে পরাজিত করে রাজনীতিতে চমক দেখান তিনি।
তিনি ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। এ বিজয়ের পর তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। কিন্তু কিছুদিন পর চেয়ার থাকলেও ক্ষমতা হারান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ভোটের লড়াইয়ে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফেজ আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলীর ঈগল প্রতিকের কাছে। বেসরকারী ফলাফলে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে চেয়ে ৫ হাজার ১৩৬ বেশী ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফেজ আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলী। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য তার রাজনৈতিক জীবনে ১৫ বছর পর দ্বিতীয় বারের মত নৌকা প্রতীক পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ভরাডুবি হয়েছেন। এ নিয়ে মণিরামপুরের রাজনৈতিকসহ নানান মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। তার নির্বাচনে পরাজয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিমন্ত্রীর এ পরাজয় দলের হঠকারি কিছু নেতা-কর্মীর কারণে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, প্রতিমন্ত্রী দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা এবং ছেলে-ভাগ্নের সকল ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়ায় আজ তার শোচনীয় পরাজয়। সাধারণ ভোটার মোসলেম গাজী, আবুসাইদ, হোসেন আলী জানায়, স্বপন ভট্টাচার্য্য ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী কলস প্রতীক নিয়ে মুসলীম ভোটে নির্বাচনে বিজয় হয়ে ছিলেন এবং ২০২৪ সালে হিন্দু ভোটের মাধ্যমে তিনি বিদায় নিয়েছেন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL